নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণা নিয়ে প্রতিপক্ষের সমর্থককে রগ কেটে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে নিহতের মামি মাসুদা বেগম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভুঁইয়াকে প্রধান আসামি করে মামলাটি করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ জানান, সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল জাব্বার মেম্বারসহ তার লোকজন প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছের সমর্থক জাহাঙ্গীর মিয়াকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছেন এমন অভিযোগ এনে মাসুদা বেগম মামলাটি করেন। এ ঘটনায় ফয়সাল মিয়া, মিলন মিয়া, সুমন মিয়া ও আউয়াল নামে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে বুধবার বিকালে জানাজা শেষে জাহাঙ্গীর মিয়ার লাশ মঙ্গলখালী সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাজায় অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ রফিকুল ইসলাম রফিক, আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছ, ব্যারিস্টার আরিফুল হক ভুঁইয়া, মনজুর হোসেন ভুঁইয়া, আবুল হোসেন খান প্রমুখ।
মুড়াপাড়া ইউপি নির্বাচনের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছসহ তার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী আবদুল জাব্বার মেম্বার ও তার কর্মী-সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে বড়ভিটা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মাসুদ মিয়া (২৫), রজব আলীর ছেলে রাজু মিয়া (২২), শাহজাহান মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২৭) ও ইলিয়াছ মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়াকে (৪০) বেঁধে রগ কেটে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে আবদুল জাব্বার মেম্বার ও তার লোকজন। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর মিয়া মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৬
জেডএম/