ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

সম্মেলনে তৃণম‍ূল নেতাদের কথা শুনবেন শেখ হাসিনা

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৬
সম্মেলনে তৃণম‍ূল নেতাদের কথা শুনবেন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: সম্মেলনে তৃণম‍ূল নেতাদের কথা শুনবেন শেখ হাসিনা এ কারণে দলের আগামী জাতীয় সম্মেলনে সব সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক অথবা যে কোনো একজন করে জেলা নেতার বক্তব্য রাখার সুযোগ দেয়া হবে। এজন্য সম্মেলনের সময় একদিন বাড়িয়ে দু’দিন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।


 
আগামী ১০ ও ১১ জুলাই দেশের ঐতিহ্যবাহী ও অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে দুই দফায় সম্মেলনের তারিখ পেছানো হয়। প্রথমে ডিসেম্বরে সম্মেলনের সিদ্ধান্ত হয়। পৌরসভা নির্বাচনের কারণে সম্মেলন পিছিয়ে ২৮ মার্চ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কারণে গত ২০ মার্চ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সম্মেলন আবারও পিছিয়ে ১০ ও ১১ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, দল ক্ষমতায় থাকায় নানা কারণে তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক নানা দুর্বলতা তৈরি হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় সাংগঠানিক কার্যক্রমে সিথিলতা দেখা যায়। আবার দলের এক শ্রেণির নেতা-কর্মীর মধ্যে গাঁ-ছাড়া ভাবও এসেছে।

তাছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল, গ্রুপিং, দ্বন্দ্ব রয়েছে। অধিকাংশ জায়গায়ই এমপি-মন্ত্রীর সঙ্গে দলের স্থানীয় নেতাদের গ্রুপিং দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। আবার অধিকাংশ এমপি-মন্ত্রী এক শ্রেণির নেতা-কর্মীদের নিয়ে নিজস্ব বলয় তৈরি করে চলাফেরা করেন। নিজস্ব গণ্ডির বাইরে তারা অন্য নেতা-কর্মীদের গুরুত্ব দেন না। দলের অন্য নেতা-কর্মীরাও ওই এমপি-মন্ত্রীদের কাছে ভিড়তে পারেন না। ফলে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
 
সূত্র জানায়, এ সব বিষয়ে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম-বেশি অবগত আছেন। সম্মেলনে সাংগঠনিক জেলার নেতারা বক্তব্য দিলে তৃণমূল পর্যায়ের সাংগঠনিক চিত্র ভালোভাবে উঠে আসবে। জেলা নেতাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা তৃণমূলের বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা সম্পর্কেও একটা স্পষ্ট ধারণা পাবেন।

এছাড়া জেলা নেতাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগাযোগ ও সম্পৃক্ততা রয়েছে। জেলা নেতাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের কথা ও রাজনৈতিক পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানা যাবে। এ কারণেই দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে প্রত্যেক জেলা নেতার বক্তব্য শোনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিকে জেলা নেতারা যাতে বক্তব্য দিতে পারেন মূলত সে কারণে সম্মেলনের সময়ও একদিন বাড়িয়ে দুই দিন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের বর্তমানে ৭৭টি সাংগঠিক জেলা রয়েছে। প্রতি জেলা থেকে একজন করে ৭৭জন নেতা বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এজন্য বেশ সময় প্রয়োজন। একদিনে সম্মেলন হলে জেলা নেতাদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ থাকে না। এর আগের দুইটি সম্মেলন হয়েছে একদিনে। ওই সম্মেলনগুলোতে প্রতি বিভাগ থেকে অর্থাৎ সাত বিভাগ থেকে একজন করে সাত জনের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ হয়েছিলো।

জানা গেছে, এবার সম্মেলনের প্রথম দিনে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন এবং সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। এরপর সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে দলের সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট উপস্থাপন করবেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এরপর জেলা নেতাদের বক্তব্য শুরু হবে। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে কাউন্সিল অধিবেশনের আগ পর্যন্ত তারা বক্তৃতার সুযোগ পাবেন।

এছাড়া সম্মেলনের আগে দলের জাতীয় কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের সভা করা হবে বলে জানা গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পর এই ফোরামগুলোর সভা ডাকা হবে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়।

বাংলদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৬
এসকে/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ