গোপালগঞ্জ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বাংলাদেশ সন্ত্রাসের দেশ না। এখানে সন্ত্রাসীদের কোনো ঠাঁই হবে না।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপির কয়েকজন উপদেষ্টা জয় হত্যা ষড়যন্ত্রে জড়িত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। সেখানে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশে যারা এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলো তাদের নামে মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে কাউকে কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ দেশের গরিবের টাকা লুট করে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করবে তা হতে দেওয়া যাবে না। এ দেশের মাটিতে তাদের বিচার করা হবে।
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। গাড়ি, মসজিদ, মন্দির, গির্জা পুড়িয়েছে। পুরোহিত ও শিক্ষকদের হত্যা করে দেশকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে উৎখাত করতে চেয়েছিল। এভাবে সরকার উৎখাত করা যায় না। এখন আবার তারা দেশে গুপ্ত হত্যা শুরু করেছে। পরিকল্পিতভাবে এ গুপ্ত হত্যা চালাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের বিদ্যুৎ সেক্টর ধ্বংস করে দিয়েছিল। তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩ হাজার মেগাওয়াটে নামিয়ে এনেছিল। আমরা ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা দেশের প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেসব উপজেলায় সরকারি স্কুল-কলেজ নাই, সেখানে সরকারি স্কুল-কলেজ করা হবে। শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের প্রকৃত মানুষ হতে আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
কৃষকদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের উন্নত সার ও বীজ দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা ভাল ফসল ফলাতে পারেন। তাদের ১০ টাকার বিনিময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের কৃষি ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহম্মদ, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামাল, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর।
এর আগে বিকেল পৌনে ৩টায় কোটালীপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া উপজেলার ১০০টি প্রাথমিক ও ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া বিতরণ করেন তিনি।
এদিকে, সমাবেশে শেষে বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জ হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৬
এসআর