ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

বঙ্গবন্ধু হত্যার অনুসারীদের সঙ্গে ঐক্য নয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৬
বঙ্গবন্ধু হত্যার অনুসারীদের সঙ্গে ঐক্য নয়

ঢাকা: ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ১৪ দল নেতারা বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐক্যের সম্ভাবনা আবারও নাকচ করে দিয়েছেন।

নেতারা বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের অনুসারী তাদের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না।

যারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে, জঙ্গি হামলার পর ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তাদের সঙ্গে ঐক্য হতে পারে না।

শনিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, কে কি বললো তাতে কিছু আসে যায় না। শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সারা দেশের মানুষ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। যেভাবে ৭১-এ বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাড়ে ৭ কোটি মানুষ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলো সেইভাবেই মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, সমস্ত অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার জন্য জঙ্গি হামলা করা হচ্ছে। যারা নির্বাচন বন্ধ করতে মানুষ হত্যা করেছে, জ্বালাও পোড়াও করেছে, টানা ৯৩ দিন পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা চালিয়েছে জামায়াত-শিবিরকে সঙ্গে নিয়ে, যারা স্বাধীনতাবিরোধীদের সন্তানদের নেতা বানায়, কল্যাণপুরে জঙ্গি হত্যা নিয়ে সন্দেহ করে তাদের সঙ্গে ঐক্য হয় কীভাবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আমাদের মূল শক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপির সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না, প্রশ্নই ওঠে না। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে সেই জিয়ার অনুসারীদের সঙ্গে কোনো ঐক্য হতে পারে না। খালেদা জিয়া খুনিদের দোষর, ৭১-এর ঘাতকদের দোষর, তার সঙ্গে ঐক্য হবে না।

সভাপতিমণ্ডলির সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, যারা জঙ্গি হামলার পর ঐক্যের কথা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় তাদের সঙ্গে ঐক্য হতে পারে না। ঐক্য শান্তির জন্য, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা নয়, তার রাজনীতিকে হত্যা করা হয়। যে রাজনীতি তিনি ৫০, ৬০ এর দশকে গড়ে তুলেছিলেন। এদেশে একটি সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃস্টি করে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানানো এরপর এটাকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতেই এই জঙ্গি হামলা।

জাসদের (একাংশের) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধুর হহ্যাকাণ্ড নিছক হত্যাকাণ্ড ছিলো না, বাঙালির আত্মকে হত্যা করা হয়েছিলো। আজকের এ সময়টা ইতিহাস চর্চার সময় নয়, কঠিন সময়। ঐক্য বজায় রেখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলার শেষ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, তখন যারা জাতির পিতার বিরোধিতা করে হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিলো আজ তারা ভুল বুঝেছে। হয়তো ২০ বছর পর বিএনপিও বুঝবে যে শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করা উচিত ছিলো।    

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, জাসদ (আরেকাংশ) সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৬
এসকে/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ