ঢাকা: খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, একাত্তরের ঘাতক জামায়াত ও জঙ্গিদের মূল টার্গেট শেখ হাসিনা। তাকে হত্যা করার জন্য এই চক্র বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
রোববার (২৮ আগস্ট) সকালে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় তিনি এ সব কথা বলেন।
জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কামরুল ইসলাম আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আমরা হারিয়েছি। তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলার শপথ নিতে হবে। শেখ হাসিনা বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে।
তিনি জঙ্গিবাদ দমনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জঙ্গিদের মূল উৎপাটন করতে কাজ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে সহযোগিতা করুন। আমরা আশাবাদী, আগামী কিছুদিনের মধ্যে দেশে জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব থাকবে না।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তানের প্রেসক্রিশন অনুযায়ী খালেদা জিয়া-জামায়াত চলছে। বিএনপি-জামায়াত আইএসআই’র প্রেসক্রিপশন নিয়ে দেশকে ধ্বংসের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
‘বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল কুশীলব ছিলেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল পরিকল্পনা করে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। এর সঙ্গে মূল কুশীলব হিসেবে কাজ করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি পেছনে থেকে মদত দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াসহ স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিলো। তখন খুনী জিয়াকে হিরো বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ’
কামরুল ইসলাম বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, আমরা স্বীকার করি বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভার কিছু কাপুরুষ সদস্য মোশতাকের মন্ত্রীসভায় শপথ নিয়েছিলেন। তারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তবে বঙ্গবন্ধুর হত্যা ঠেকাতে তারা দায়িত্ব পালন না করে কাপুরুষত্বের পরিচয় দিয়েছে।
সেক্টরস কমান্ডারস ফোরামের নেতা আবু হাশিম ভুইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সংগঠনের মহাসচিব হারুন হাবিব প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৬
এসকে/এসএনএস