ঢাকা: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের (কেন্দ্রীয় কমিটি) পরিধি বেড়ে ৮১ সদস্য বিশিষ্ট হচ্ছে। দলের আগামী জাতীয় সম্মেলনে গঠনতন্ত্র সংশোধনের মাধ্যমে এ সংখ্যা বাড়ানো হবে।
মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) আওযামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কার্যনির্বাহী সংসদের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৭৩ জন। এর মধ্যে সভাপতিমণ্ডলিতে রয়েছেন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১৫ জন।
কমিটির পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সভাপতিমণ্ডলির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ১৯ করা হবে। এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে তিনজন রয়েছেন। এই সংখ্যাও বেড়ে পাঁচজন হবে। সাংগঠনিক সম্পাদকের সংখ্যাও বাড়ছে। বর্তমানে সাত বিভাগের জন্য সাতজন দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছেন। আরও তিনটি বিভাগ বাড়ায় সাংগঠনিক সম্পাদকও বাড়বে। তবে এই সংখ্যা বাড়বে বিভাগ বাড়ার সংখ্যা অনুযায়ী।
আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনে কার্যনির্বাহী সংসদের এই পরিধি বাড়ানোর প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। সম্মেলনে এ প্রস্তাব পাস হলে গঠনতন্ত্র সংশোধনের মাধ্যমে ৭৩ সদস্যের কার্যনির্বাহী সংসদ বেড়ে ৮১ সদস্যের হবে।
মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত এ যৌথসভায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সভায় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ৮১ করার ব্যাপারে দলের অধিকাংশ নেতাই মতামত দিয়েছেন। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও এতে সম্মতি রয়েছে। কার্যনির্বাহী সংসদের পাশাপাশি জেলা, উপজেলা কমিটির সদস্য সংখ্যাও গঠনতন্ত্র সংশোধন করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্তমানে জেলা কমিটি রয়েছে ৭১ সদস্যের। এই সংখ্যা বেড়ে ৭৩ সদস্যের হবে। সংখ্যা বাড়ানোর ফলে যে দুইটি পদ বাড়বে সে দুইটি পদই হচ্ছে সহ-সভাপতির পদ।
সূত্র আরও জানায়, সভায় সম্মেলন প্রস্তুতি উপ-কমিটিগুলো তাদের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেছে। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তুতির কাজের গতি আরও বাড়াতে বলেছেন। সেই সঙ্গে সম্মেলনের খাদ্যের মান যাতে ভালো হয়, কোনো ধরনের সমস্যা যাতে না হয় সেজন্য বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সভায় বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশের রাজনৈতিক দলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কারা কারা সম্মেলনে আসবেন সেটা আগামী ১০ দিনের মধ্যে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও সভায় জানানো হয়েছে।
২০তম এ সম্মেলনের স্লোগান হচ্ছে, ‘সম্মেলনের অঙ্গীকার, রুখবো জঙ্গিবাদ’। এছাড়া দলের ঘোষণাপত্রে নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী, ভিশন-৪১ উল্লেখ করা হবে। এতে সরকারের সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা ও যেসব মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বা বাস্তবায়ন হয়েছে তা উল্লেখ করা হবে।
এদিকে, সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণ ও উত্তরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী দুই-চার দিনের মধ্যেই এ দুই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৪ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৬
এসকে/এসএনএস