ঢাকা: আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ অভিযোগ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে কাজ করেছিলেন জিয়াউর রহমান।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন প্রজন্মের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়া ছিলেন পাকিস্তানের দোসর। কেবল তাই নয়, তিনি তৎকালীন বাংলাদেশে পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে কাজ করেছিলেন। যদি তাই না হবে, তাহলে খালেদা জিয়াসহ তার সন্তানেরা কেন সেদিন জামাই আদরে ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন। আর কেনইবা তাদের কিছুই হলো না। এতে কি স্পষ্ট নয়, জিয়া পাকিস্তানের হয়ে সেদিন কাজ করেছেন?
বঙ্গবন্ধু সব যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা করেননি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সব যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা করেননি। যারা খুন, ধর্ষণ, লুটপাট ও সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করেছিল, বঙ্গবন্ধু সেদিন তাদের ক্ষমা না করে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু জিয়া ক্ষমতায় গিয়ে প্রায় ১৩ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে কারাগার থেকে মুক্তি দেন। যার মাধ্যমে আরও একবার তিনি প্রমাণ করেন, যুদ্ধাপরাধীদের জন্য তিনি সবকিছু করতে পারেন এবং তাদের জন্য তার দরদ ছিল।
বিএনপি এখন যুদ্ধাপরাধীর দল মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে বিএনপির যে নব্য দল ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে যুদ্ধাপরাধীর সন্তানের জায়গা হয়েছে। আগে যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে সখ্য করেছেন জিয়া আর এখন করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এছাড়া খালেদা জিয়া জামায়াতকে ছাড়া কিছুই করতে পারেন না। যদি পারতেন তাহলে তিনি এতোদিন জামায়াতকে বয়কট করতেন।
তিনি আরও বলেন, পেট্রোল বোমা মেরে যারা মানুষ হত্যায় জড়িত তাদের বিচারের জন্য স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। যেখানে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে নৃশংসভাবে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে অসংখ্য মানুষ হত্যার দায়ে খালেদা জিয়ার বিচার করা হবে। কেননা তার মদতেই সন্ত্রাসীরা পেট্রোল বোমা ছুঁড়েছিল।
কোনো যুদ্ধাপরাধীর স্থান বাংলাদেশে নেই মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি তারা কেনো বাংলাদেশে থাকবে? তাদের স্থান পাকিস্তানে কিংবা কারাগারে। যাদের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সময় শত শত মায়ের বুক খালি হয়েছিল তারা এ দেশে বাস করবে, আর সেটা স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধাদের দেখতে হবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না।
মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আছাদুজ্জামান দুর্জয়ের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাত, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের উপদেষ্টা সৈয়দা রোকেয়া বেগম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সহ-সচিব ড. আওলাদ হোসেন ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৬
এসজে/এএটি/এইচএ/