ঢাকা, রবিবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ সফর ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর অব্যাহতির সুপারিশ প্রত্যাহার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৬
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর অব্যাহতির সুপারিশ প্রত্যাহার দাবি ছবি-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পদ থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সায়েদুল হককে অব্যাহতির সুপারিশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৪ অক্টোবর) বিকেলে নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

বিকেলে উপজেলার চৈয়ারকুড়ি বাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হাসান খানের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম বেলায়েত, মাহবুবুর রহমান, বশির আল হেলাল, আক্তার হোসেন, বশির উদ্দিন বাচ্চু, ছাত্রলীগ নেতা মিজানুল হক, ফয়েজ আহম্মেদ প্রমুখ।

গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হাসান খান মানববন্ধনে বলেন, একটি মহল অযথা মন্ত্রীর পিছু লেগেছে। এ বিষয়ে আমরা দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
 
মন্ত্রীকে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতির সুপারিশের নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, মন্ত্রীর সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল তার পিছু লেগেছে। অন্যায়ভাবে তাকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। এটা প্রত্যাহার করা না হলে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
 
দলীয় সূত্র জানায়, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে  মন্ত্রীর সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরোধ দেখা দেয়। সে সময় নাসিরনগরের ১৩টি ইউপিতে মন্ত্রী প্রার্থী বাছাই করলে তা অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু বাছাইয়ে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি এবং একটিতে 'রাজাকার পুত্রকে' মনোনয়ন ও আরেকটিতে 'ভালো অবস্থানে' থাকা বর্তমান চেয়ারম্যানকে বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠে।

এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ অভিযুক্তদের বাদ দিয়ে জেলা মনোনীত প্রার্থীকে মনোনয়ন দেন। এ থেকেই বিরোধ চাঙ্গা হয়ে উঠে।

এরপর জেলা আওয়ামী লীগ কয়েক দফা বৈঠকের পর মন্ত্রীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে। মন্ত্রী গণমাধ্যমে এ বিষয়ে বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সম্পাদককে দোষারোপ করেন। এ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানায় জেলা আওয়ামী লীগ।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।