ঢাকা: সোনালী ব্যাংক ইউকে শাখাকে ৩৩ লাখ পাউন্ড জরিমানা হওয়ার দায় শুধু সরকারের নয়, সোনালী ব্যাংকের বোর্ডেরও।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সরকারকে একা দায়ী করলে চলবে না, এ দায় সোনালী ব্যাংক বোর্ডেরও।
অর্থ পাচার রোধে ব্যর্থ হওয়ায় সোনালী ব্যাংক ইউকে শাখাকে ৩৩ লাখ পাউন্ড জরিমানা করেছে যুক্তরাজ্যের ফিন্যান্সিয়াল কনডাক্ট অথোরিটি (এফসিএ)।
একই সঙ্গে ওই শাখাকে আগামী ছয় মাসের জন্য নতুন গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত গ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সম্ভাব্য মুদ্রা পাচার ঠেকাতে পদ্ধতি উন্নত করতে সোনালী ব্যাংককে ২০১০ সালে সতর্ক করেছিল এফসিএ। কিন্তু এর পরের চার বছরেও ব্যবস্থার উন্নতি না হওয়ায় এই জরিমানা করা হয়েছে।
চীনের সঙ্গে কত বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, আমি যে তালিকা দিয়েছি তার একটা হিসাব করেছি। তাতে ২০ বিলিয়ন ডলার। আরেকটি প্রজেক্টের তালিকা বিবেচনায় আছে।
চীন সরকারের কাছে কি কি চাইবো এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চাওয়ার কথা বলতে পারি না। চীন সরকারের কাছে আমরা অনেক প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সেইসব প্রস্তাবের হিসাবে আমাদের খরচ ১৫-২০ বিলিয়ন হয়। এছাড়াও আমরা একটা তালিকা দেবো। সেগুলোর সব হিসাব এখনো হয় নাই। এগুলো দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার।
মুহিত বলেন, প্রথমবারের মত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশ সফরে আসছেন। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ১১টা ৪০ মিনিটে তার শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। এর আগে বাংলাদেশে সর্বশেষ চীনের বড় ভিজিটর ছিলেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট।
এদিকে সোনালী ব্যাংক ইউকের ৩মিলিয়ন জরিমানার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৩মিলিয়ন ফাইন করেছে আমি কাগজে দেখেছি। কোনো কাগজপত্র এখনো পাই নাই। ফাইন হলে ফাইন দিতে হবে।
জরিমানার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের শাস্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি শুনানী হয়েছে। জরিমানা এড়াতে পারিনি। দিতেই হবে। আমি এটি ঘাড়ে নিবো না। তাদের পরিচালনা পর্ষদ আছে। তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৬
এসই/এটি/আরএইচএস/