সিলেট: সিলেটে আওয়ামী লীগের নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটতে যাচ্ছে দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্যদিয়ে।
রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে শেষ হচ্ছে আওয়ামী লীগের সম্মেলন।
নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষায় সিলেটের মানুষ। নেতৃত্বে নতুন মুখ আনার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর অনেকটা সত্য হতে চলেছে সিলেটবাসীর সেই প্রত্যাশা, আজকের সম্মেলন থেকেই এর সুরাহা হতে যাচ্ছে!
তবে কে আসছেন নতুন নেতৃত্বে? নাকি পুরোনো নেতৃত্ব বহাল থাকছে? এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র।
সিলেটের নেতৃত্ব কে পাচ্ছেন, এবার সাংগঠনিক সম্পাদক পদে কে আসছেন, তা দেখার অপেক্ষায় সিলেটবাসী।
আজকের এ সম্মেলনেই সিলেটের সাত নেতার ভাগ্য নির্ধারিত হবে, পদ পাবেন না খালি হাতে ফিরবেন?
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে স্থান পেতে পারেন এমন আলোচনায় রয়েছেন সিলেটের সাত নেতা। তারা হলেন- দলের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ সম্পাদক আজিজুস সামাদ ডন, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ।
এর বাইরেও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক আলোচনায় রয়েছেন।
এসব নেতাদের মধ্যে কেন্দ্রে গুরুত্বপূর্ণ পদে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজকে মূল্যায়ন করা হতে পারে। নতুন মুখ হিসেবে সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে আসতে পারেন বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও শফিকুর রহমান চৌধুরী।
এছাড়া অন্য নেতাদের কেউ কেউ নতুন দায়িত্ব পেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত মিসবাহ উদ্দিন সিরাজকে যুগ্ম সম্পাদক পদে নেওয়ার হতে পারে জানিয়েছেন সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা। সেই সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আসতে পারেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর আরও দুই আস্থাভাজন নেতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও শফিকুর রহমান চৌধুরী।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর সহচর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের ছেলে হিসেবে জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে স্থান পেতে পারেন আজিজুস সামাদ ডন।
আর হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর কোন্দল নিরসন করে নেতাকর্মীদের এক ছাতার নিচে নিয়ে আসেন সংসদ সদস্য আবু জাহির। যে কারণে সভানেত্রীর নখদর্পনে রয়েছেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচনে ডাক্তার মুশফিক বিএনপির সুজাত মিয়ার কাছে পরাজিত হলেও শেখ হাসিনা তাকে মূল্যায়ন করে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেন।
সম্মেলনেও একই ভাবে তাকে সদস্য পদে মূল্যায়ন করা হতে পারে। আর ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান আসাদ উদ্দিন। পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আবারও তাকে মূল্যায়ন করে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে নেওয়া হতে পারে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। এখন শুধু তাদের সেই আশা বাস্তবায়নের অপেক্ষায়।
১৯৯০ সালে ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পথচলা শুরু মুহিবুর রহমান মানিকের।
এরপর ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৩ জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মানিকও রয়েছেন আলোচনায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৬
এনইউ/এএটি/বিএস