ঢাকা: জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দলীয় লোকদের নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন তিনি।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে নির্দেশনা আছে নির্বাচন কমিশনের যে আচরণ তা ভায়োলেট করার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত কঠিন। কেউ কেউ এর মধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে আমি তাদের প্রত্যেককে সতর্ক করে দিয়েছি।
“আবারও সতর্কবাতা পাঠাতে চাই যে, কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে করে তারা এলাকায় অবস্থান করতে পারবেন না এবং নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না। সবাইকে আবারও বলব, যারা বিভিন্ন এলাকায় আছেন, মন্ত্রী হন, এমপি হন, আপনারা স্ব স্ব এলাকা ত্যাগ করুন। নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে চলুন,” বলেন ওবায়দুল কাদের।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার দু’জনের কথা বলেছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের ফোন করে এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছি। আমার মনে হয় তারা আর এলাকায় নেই।
নির্বাচনে কালো টাকার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, টাকার ভূমিকা আছে এটা অস্বীকার করার কেনো উপায় নেই। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত টাকার অঙ্ক থাকলেও সেই সীমা থাকছেন না অনেকে। অনেক জায়গায় লঙ্ঘিত হচ্ছে।
তবে এ ধরনের বিধি লঙ্ঘন ছাড়া একটা আদর্শ নির্বাচন করতে পারলে ভালো হতো, মত দেন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক।
দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাদের প্রতি আপনার আগাম কোনো বার্তা আছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই ইলেকশনে অপজিশন অংশ নেয়নি। অপজিশন বলতে বিএনপি-জাতীয় পার্টি, তাদের কোনো অংশগ্রহণ এই নির্বাচনে নেই। এখানে আমরা মনোনয়ন দেইনি কাউকে, আমরা সমর্থন করেছি। আমাদের যে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড, সেখান থেকে ৬১ জেলায় ৬১ জনকে সমর্থন দিয়েছি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, এখানে ২২ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি যারা আছেন, আমরা একটা পর্যায়ে বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করলাম যে, যারা প্রতিপক্ষ হিসিবে নির্বাচন করছে, দলীয় লোক হলে তাদের প্রত্যাহার করতে অনুরোধ বা কনভিন্স করা। সে বিষয়টা আছে কিন্তু চাপাচাপিটা করা থেকে আমরা বিরত থেকেছি। এটা হচ্ছে এই ইলেকশনে আমাদের স্ট্র্যাটেজি। অন্তত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়েই যারা আছে তারা নির্বাচিত হোক সেটা আমরা চেয়েছি। এখানে অপজিশন থাকলে তো বিষয়টা ভিন্ন কিছু হতো।
নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি আসেনি, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনকে মডেল হিসেবে গ্রহণ করতে পারি। সেখানে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালো টাকা নিয়েও কোনো অভিযোগ আসেনি।
ভবিষতে সব নির্বাচনই কালো টাকা মুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সকল রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬/আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এমজেএফ