ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করছে বিএনপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করছে বিএনপি

ঢাকা: আগামী নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার জন্য বিএনপি আগ বাড়িয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। 

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে মনে হয় তারা নির্বাচনে আসবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। তারা নির্বাচনে ওয়াক ওভার দেবেন।

নির্বাচনে যে তারা যাবেন না তার যৌক্তিক পরিস্থিতি তৈরির জন্য নির্বাচন নিয়ে আগাম বিভিন্ন অভিযোগ তুলছেন।  

রোববার (২৩ এপ্রিল) পোস্টম্যান ও ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন হানিফ। এর আগে সকালে জিপিও অডিটরিয়ামে এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।  

অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে হানিফ আরও বলেন, আপনারা কি নির্বাচনে আসবেন না, এ সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে ফেলেছেন। অভিযোগ করছেন আওয়ামী লীগ এক তরফা নির্বাচন করতে চায়। আপনার নেত্রী খালেদা জিয়া নিজেই তো বলেছেন, আওয়ামী লীগ আরও ৫ বছর ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য এক তরফা নির্বাচন করতে চায়।
 
হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ এক তরফা নির্বাচন করতে চায় না। গত নির্বাচনেও আপনাদের বার বার আহ্বান জানানো হয়েছিলো অংশ নেওয়ার, আপনারা আসেন নি। আপনারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছেন। আবারও ভেবেছেন নির্বাচনে না গিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবেন, কোনো শক্তি এসে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে সেটা হবে না। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার দিন শেষ। ভুল রাজনীতির কারণে বিএনপি পা পা করে খাদের কিনারায় চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় তাদের আপতত ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন না দেখলেও চলবে।  

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার দলের নেতাকর্মীদের নামে যেসব মামলা রয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার করে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির কথা বলেছেন। যারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, আহত করেছে, সেই নিহতদের স্বজন এবং আহতদের কি বিচার পাওয়ার অধিকার নেই?

হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ফেডারেল স্টেট করার জন্য এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। পাকিস্তান বার বার তাদের এজেন্টদের দিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করছে।  

এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের প্রভাবশালী মিডিয়া সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ১২৫টি মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনের জন্ম হয়েছে। এদের শ্যাডো গডফাদার হচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান।  

পোস্টম্যান ও ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নাসির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
এসকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ