খালেদা জিয়া ও তার দুই ছেলের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার দুই ছেলে দুই রত্ন। তারা মানিলন্ডারিং-এ পারদর্শী।
ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বাষির্কীতে বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) গণভবন মাঠে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
হাসিনা বলেন, “আজকে যখন আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করছি, তখন খালেদা জিয়া বক্তৃতা দেন, ওই পদ্মাসেতু জোড়াতালি দিয়ে করা হয়েছে। কেউ পদ্মাসেতুতে উঠবেন না।
একটা সেতু নির্মাণ হচ্ছে সেটা নাকি জোড়াতালি দিয়ে। হ্যাঁ, একদিকে ঠিক, যেহেতু একেকটি পার্টস তৈরি করে তারপর একটা একটা করে বসায়। যার এইটুকু জ্ঞান নেই। একটা জিনিস নির্মাণ করতে হলে কীভাবে, কী পদ্ধতিতে করতে হয়, যার মাথায় এইটুকু ঘিলু নাই। তার মাথায় যে ঘিলু আছে সেটা কীসের? চুরি করা, টাকা বানানো, এতিমের টাকা খাওয়া, মানুষ পোড়ানো আর মানুষ মারা; এটাই তো!”
একটা সেতু বানানোর মতো ক্ষমতা খালেদা জিয়ার নেই মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “যার মধ্যে এতটুকু সেন্স আছে, এতটুকু বুদ্ধি আছে বা যার এতটুকু জ্ঞান আছে এবং সে যদি সজ্ঞানে থাকে নিশ্চয়ই এ কথা বলবে না। সরকারে এসেছি নিজের ভাগ্য গড়তে নয়। জনগণের ভাগ্য গড়তে। ”
৭৫ পরবর্তী সময় ও ২০০১ পরবর্তী বিএনপি আমলে শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশ পিছিয়ে গেছে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা বলেন, “একদিকে আমরা যখন শিক্ষা, চিকিৎসাসহ মানুষের সব ধরনের সেবার দিকে নজর দিচ্ছি। অপর দিকে আমরা দেখি তাদের নিজেদের লেখাপড়ার দিকে নজরই নাই। ”
খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “একটা ব্যাপারে তারা পারদর্শী, মানিলন্ডারিং করা। অলরেডি তারা, খালেদা জিয়ার বড় ছেলে মানিলন্ডারিং... এটা আমরা বলছি না। এটা আমেরিকার ফেডারেল কোর্টে ধরা পড়েছে, সে ঘুষ খেয়েছে, মানিলন্ডারিং করেছে। যার জন্য তার বিচারে সাজা হয়েছে ৭ বছর কারাদণ্ড, ২০ কোটি টাকা জরিমানা। ”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আরেক ছেলে, তার টাকা ধরা পড়েছে সিঙ্গাপুরে। সেই টাকা আমরা ফেরত নিয়ে এসেছি। কাজেই তার দুই ছেলে রত্ম। তারা দুই কাজে পারদর্শী। ”
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “তিনিও কম যান না, এতিমের টাকা মেরে দিয়ে বেশ.. সামান্য এতিম তাদের জন্য আনা পয়সাও মেরে দেয়। তারা দেশের মানুষকে কী দেবে। ”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “খালেদা জিয়া মানুষ পোড়ানোতে পারদর্শী। মানুষের ক্ষতি করতে পারে। মানুষের উপকার করতে পারে না। মানুষের ভালো করতে পারে না। কারণ তাদের হাত দিয়ে মানুষের ভালো আসে না। ”
শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতি এই তিন মূলমন্ত্র নিয়ে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণ থেকে যাত্রা শুরু করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। ১৪ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে গঠিত সংগঠনটি সময়ের পরিক্রমায় পরিচিতি পায়
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন।
মন দিয়ে পড়, ছাত্রলীগকে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
এমইউএম/এমজেএফ