শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ‘ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে’ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বাসদ), বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী, ছাত্র সমিতি, ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় ছাত্র ঐক্য এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আগামী ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সন্ত্রাস বিরোধী ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ৬ ফেব্রুয়ারি রাজু ভাস্কর্যে সন্ত্রাস বিরোধী মানববন্ধন, ৭ ফেব্রয়ারি উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেবে মোর্চাটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সভাপতি মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম সুমন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭ কলেজ বাতিলের দাবিতে কিছু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী উপাচার্যের সামনে বিক্ষোভ করে এবং তাকে উদ্দেশ্য করে অশালীন স্লোগান দিতে থাকে। এটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কানে পৌঁছলে তারা উদ্ধার করতে যায়। সেখান আন্দোলনরত কয়েকটি ছাত্র সংগঠন সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালায়। আমরা মনে করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃষ্ট পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান বলেন, সেদিন ছাত্রলীগ হিসেবে নয়, সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে গিয়েছিলাম।
সংবাদ সম্মেলন উত্থাপিত পাঁচ দফা দাবি হল- ঢাবি ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে ভাঙচুরের ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ, সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সাথে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা এবং ঘটনায় দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে অবিলম্বে পরিবেশ পরিষদ চালু করা, অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৭ কলেজ নিয়ে যে বিরাজমান সমস্যা তা দ্রুত সমাধান করা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব শামীম, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী সভাপতি ফারুক আহমেদ রুবেল, বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইউনুস শিকদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৮
এসকেবি/এমজেএফ