সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে শহীদ হবিবুর রহমান হলে ওই পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করার পর তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটকরা হলেন- নিতাই, শাহাদাত, ফয়সাল, শাকিব ও সৌরভ।
জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রোববার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় শাহাদাত ও নিতাইয়ের সঙ্গে মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ফেরদৌস মাহমুদ শ্রাবণের কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এতে শ্রাবণ ও নিতাই আহত হন। এসময় সেখানে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাকিম বিল্লাহ পাভেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান মিশু উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি শুনে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া পরে মিমাংসা করা হবে বলে সবাইকে চলে যেতে বলেন। সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিয়ে পুনরায় হবিবুর রহমান হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে আবারো হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু হবিবুর রহমান হলে যান এবং সবার সঙ্গে বিকেল পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় নিতাই, শাহাদাত, শাকিব, সৌরভ ও ফয়সালকে পিটিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, রোববারের ঘটনার মিমাংসা করতে সম্পাদকসহ হবিবুর হলে এসে সবার সঙ্গে কথা বলেছি। ভুল বোঝাবুঝির জায়গা থেকে এই ঘটনা ঘটলেও আমরা চেয়েছি ছাত্রলীগের প্রত্যেক কর্মীর কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে যে সংগঠনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কোনো জায়গা নেই।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের কয়েকজনকে পুলিশে দিয়েছে। হবিবুর হলে উত্তেজনা বিরাজ করায় পরিস্থিতি শান্ত করতে তাদের থানায় আনা হয়েছে। পরে হয়ত তাদের নিয়ে যাবে ছাত্রলীগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
এনটি