আহতরা হলেন- মহানগরীর, শাহ মখদুম থানা ছাত্রলীগের কর্মী জনি ইসলাম, জহুরুল ইসলাম, মনা, ইমরান হোসেন ও রুহুল আমিন।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মহানগরীর নওদাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে শাহ মখদুম থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এরই জের ধরে মঙ্গলবার বিকেলে বরেন্দ্র সরকারি কলেজে নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে মাসুদকে দাওয়াত না দেওয়া জহুরুলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর বিকেলে ছাত্রলীগের ওই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মহানগরীর শাহ মখদুম থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম বলেন, নবীনবরণ অনুষ্ঠানে অতিথি না করায় মাসুদ তার কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। থামাতে গেলে তার ওপরও চড়াও হয়। এক পর্যায়ে মারধর শুরু হলে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় হয়।
তবে এ বিষয়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ বলেন, আদিপত্য বিস্তারের জন্য সকাল থেকেই নবীনবরণ অনুষ্ঠানে গণ্ডগোল বাধানোর চেষ্টা করছিল জহুরুল ও তাদের লোকজন। এরপর তাদের বাধা দিতে গেলে বিকেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মহানগরীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় মামলা বা লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/