ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

‘কিছু ঘটে থাকলে কেউ ছাড় পাবে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৮
‘কিছু ঘটে থাকলে কেউ ছাড় পাবে না’ ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের জনসভার দিনে কয়েকজন নারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রসঙ্গে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সমাবেশস্থলের বাইরে যদি কিছু ঘটে থাকে তাহলে সেটা দলের বিষয় না। তবে বাইরে ঘটলেও এটা যারা ঘটিয়েছে তারা কেউ ছাড় পাবে না।

বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) বিকেলে আওয়ামী লীগের দপ্তর উপ-কমিটির সভা শেষে সাংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থলের বাইরে যদি কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে কেউ ছাড় পাবে না।

এটা আমাদের দলের বিষয় নয়, তবে সরকারের দায় আছে। কেউ ছাড় পাবে না।

তিনি বলেন, ঘটনা কি সমাবেশস্থলে হয়েছে? সমাবেশের বাইরে ঢাকার রাস্তায় কোথায় কী হয়েছে এটা আমাদের দলের বিষয় নয়। আর এটাতে অবশ্যই সরকারের দায় আছে। কোথাও যদি কিছু ঘটে থাকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন খতিয়ে দেখছেন।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, এই সরকারের আমলে এ ধরনের ঘটনায় কেউ ছাড় পায়নি। গতকালও যদি ঘটে থাকে কেউ ছাড় পাবে না।

বিএনপির সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতারের অভিযোগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিনিয়র এমন কোনো নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। গতকাল (বুধবার) দেখলাম বিএনপির সিনিয়র নেতারা কারাগারে গিয়ে দলটির চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেছেন, ঘণ্টাব্যাপী কথা বলেছেন। দেখলাম তারা হাসি মুখে বেরিয়ে এসেছেন।  

বিএনপি নিজেরাই কর্মসূচি দিয়ে মারামারি, হাতাহাতি করে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এর দায় তারা সরকারের ওপর চাপাতে চায়। সব বিষয়ে তারা সরকার নামের নন্দনালের ঘাড়ে দোষ দেয়।

৭ই মার্চে আওয়ামী লীগের জনসভা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনসমাবেশে দ্বন্দ্বের একটি প্রমাণও নেই। খুবই সুশৃঙ্খল একটি সমাবেশ হয়েছে। জনসমুদ্রের সমাবেশে শুধু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই আসেননি। এখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাসী সকল শ্রেণীর মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। ঢাকা ও আশপাশের সকল রাস্তা ও নদীর ধারা জনস্রোতে পরিণত হয়ে সোহরাওয়ার্দীতে এসে মিশেছে। এটি একটি ঐতিহাসিক জনসভা। জনসভায় কোনো ব্যক্তি বা দলকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে যাওয়া জাতির মুক্তির রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। তিনি কথা বলেছেন আগামী নির্বাচন নিয়ে। সে নির্বাচনে যাতে কোনো জঙ্গিবাদী, সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে। এতে বিএনপির অন্তর্জ্বালা কেন? সামনে নির্বাচন, দলের সভানেত্রী হিসেবে তিনি সমাবেশে ভোট চাইতেই পারেন। এটা তো কারো আঁতে ঘা লাগার বিষয় না।

দপ্তর উপ-কমিটির এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-কমিটির সদস্য খন্দকার তারেক রায়হান, মেহেদী হাসান, দেলোয়ার রহমান দিপু, নাসিম আল মোমিন রূপক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৮ 
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ