মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে বিএনপি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সভা-সমাবেশের অনুমতি ডিএমপি কমিশনার দিয়ে থাকেন।
‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বিএনপির রাজনৈতিক অধিকার। তবে সেখানে যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় তখন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব জনগণের প্রোটেকশন দেওয়া,আমরা সেই টুকু দেখবো। ’
বিএনপির সভা-সমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর আগেও তারা যখনই সময় চেয়েছেন, পেয়েছেনও। তবে কোনো কোনো সময় ডিএমপি কমিশনারের কাছে নিশ্চয়ই গোয়েন্দা তথ্য ছিল বা আশঙ্কা ছিল সেজন্য অনুমতি দেননি। সেসব তথ্যের ভিত্তিতেই হয়তো ডিএমপি কমিশনার তারিখ বা স্থান পরিবর্তন করতে বলেছেন। কিংবা অন্য কোনো জায়গায় করতে বলেছেন। কারণ সভা-সমাবেশ যাতে সুন্দরভাবে হয় সেটি দেখাও ডিএমপি কমিশনারের দায়িত্ব।
‘আর সেই দায়িত্ব বোধের জায়গা থেকেই সময় কিংবা স্থান পরিবর্তন করার অনুরোধ করেছেন তিনি। এটাই স্বাভাবিক। ’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের বিষয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাইবো অসুবিধাটা কোথায়? তবে তাদের অনুমতি নির্ভর করছে ডিএমপি কমিশনারের ওপর। তিনি যদি মনে করেন অসুবিধা নেই অনুমতি দেবেন।
‘অনুমতি না দেওয়ার পরও যদি বিএনপি সমাবেশ করে এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। যখন করে তখন দেখা যাবে। ’
আরও পড়ুন>>
** সোহরাওয়ার্দীতে অনুমতি পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী বিএনপি
দেশজুড়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগরে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা অযথা অ্যারেস্ট করছি না, ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে যাদের সম্পৃক্ততা পেয়েছি বা তাৎক্ষণিক কোনো অপরাধ করা অবস্থায় পেয়েছি তাদেরই অ্যারেস্ট করেছি।
‘কোনো অভিযোগ নেই কিংবা অপরাধ করেনি এমন কাউকে সাধারণত গ্রেফতার করি না। আপনাদের কাছে তথ্য থাকলে আমাদের জানাবেন,’ বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন তিনি।
এর আগে নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান।
সাক্ষাৎ শেষে সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা এর আগেও সমাবেশের অনুমতি চাইতে বিভিন্ন সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সঙ্গে কথা বলেছি কিন্তু তারা অনুমতি দেননি। এবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে এসেছি, আশা করি তারা অনুমেতি দেবেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি আবারও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে বিএনপি। তবে ওই সময় অমর একুশে গ্রন্থমেলা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এরপর তৃতীয় দফায় ১৯ মার্চ সমাবেশের তারিখ ঘোষণা করে অনুমতি চাইতে গেলেও ওইদিন সন্ধ্যায় জানানো হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। সবশেষ আগামী ২৯ মার্চ সমাবেশ ডেকে দুইদিন আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেল বিএনপি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৮/আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা
এসএম/এমএ