বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ‘নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৮’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান-আবদুস সাত্তার (সাবেক দুই রাষ্ট্রপতি) আর খালেদা মিলে ১৬ বছর ক্ষমতায় ছিলেন।
এর আগে কোনো সরকার নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করেনি উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই সপ্তাহ পালন শুরু করি। এবার দশম বারের মতো নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে।
গত ৩ বছরে দেশে কোনো লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটেনি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটা আমাদের সবচেয়ে বড় সফলতা। আমরা আইনের কঠোর প্রয়োগ ও যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পেরেছি। এছাড়া নৌযান নির্মাণ পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
গত নয় বছরে ড্রেজিং করে ১৪০০ কিলোমিটার নৌপথে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং এর মধ্য মংলা-ঘসিয়াখালী চ্যানেল চালু করাটা বড় সফলতা ছিল বলে উল্লেখ করেন শাজাহান খান।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নুরে আলম চৌধুরী এমপি, জেবুন্নেসা আফরোজ এমপি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মফিজুল হক, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
ঢাকায় শিশু একাডেমিতে উদ্বোধন হওয়া ৫ থেকে ১১ এপ্রিল নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, চাঁদপুর, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা বন্দরে নৌ-সপ্তাহের অনুষ্ঠান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াও নৌ-র্যালি, বিভিন্ন নৌবন্দরে ব্যানার ও পোস্টার প্রদর্শনের মাধ্যমে নৌ-সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচি, নৌ-সেক্টরে বিভিন্ন কাজে অবদান রাখার জন্য পুরস্কার প্রদান, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সারাদেশে অরেজিস্ট্রিকৃত নৌযানের বিরুদ্ধে পরিচালনা করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ/