বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবাসিক হল লালন শাহ থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়। পরে দুপুর ১টার দিকে তাদের আবার ফিরিয়ে আনা হয়।
ভুক্তভোগীরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিনের কর্মী বলে জানা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। দলের কাউকে আন্দোলনে অংশগ্রহণ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ইবি শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। কিন্তু নির্দেশ উপেক্ষা করে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২২ জন কর্মীকে চিহ্নিত করে হল ছাড়ার নির্দেশ দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিনের আস্থাভাজন কর্মী সালাউদ্দিন আহমেদ সজল ও আবুল খায়ের মোল্লা। নেতাদের নির্দেশে সকাল ১০টার দিকে লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও দলীয় কর্মী লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের হাবিব, আশরাফুল, মেহেদী, লিমন, ফয়সাল, শাকিল, মেহেদী হাসান, নাইম, শিমুল, একই শিক্ষাবর্ষের ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিল্লাল, আশিক এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আশিক ও নিশাতসহ ২২ কর্মী বের হয়ে যান।
এর আগে সন্ধ্যায় সভাপতি শাহিন হলে এসে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমরা ছাড়াও আরো অনেক কর্মী গতকালের আন্দোলনে ছিল। কিন্তু কেবল আমদের কয়জনকেই হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে দুঃখ নেই। দলকে ভালবাসি, তাই কখনও দল ছাড়বো না। আর আমি একজন ছাত্র। এজন্য কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এটা আমার অপরাধ নয়।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, কর্মীদের মধ্য একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এখন সমাধান হয়ে গেছে। কর্মীরা নিজ নিজ রুমেই আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
এসআই