বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। ভারত সফরে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত সরকার আমাদের অনেক গুরুত্ব দিয়েছে। নরেন্দ্র মোদী মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন আমাদের কথা। প্রায় ৩২ মিনিট তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা জনগণের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছি।
দেশের একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কোনো কথা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিনার পার্টিতে ভারতের অনেকেই বলেছেন, আওয়ামী লীগ আগামীতেও ক্ষমতায় আসবে। তবে একাদশ নির্বাচন নিয়ে মোদী কোনো কথাই বলেননি।
বাংলাদেশে নির্বাচন হবে, অনেক দলই নির্বাচনে অংশ নেবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারত কি আমাদের ক্ষমতায় বসাবে? তারা কি কখনো ক্ষমতায় বসিয়েছে? ২০০১ সালে আমরা হেরে গেছি। ভারত কি তখন আমাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে? ভারত এটা করে না। আর আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ, কোনো বিদেশি শক্তি নয়।
সফরে শিক্ষা থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা ইস্যু, দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সবকিছুই আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সফরে দেশের জনগণের স্বার্থ তুলে ধরেছি। আমরা জানিয়েছি, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হলে জনগণের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের পাসপোর্ট ইস্যুতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে আগে বলেছি প্যাথোলজিক্যাল লায়ার (অভ্যাসগত মিথ্যাবাদী), এখন বলছি পুরোপুরি মিথ্যাবাদী। তাদের একেক নেতা একেক কথা বলছেন, এখন বলছেন, তারেক রহমান রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। এতোদিন কিন্তু স্বীকার করেননি। ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে।
কারাবন্দি বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল কি চিকিৎসক? চিকিৎসকরা বলুক। কিভাবে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনিত হয়েছে? আমরা তো দৃশ্যত কোনো অবনতি দেখিনি। ভেতরে কোনো সমস্যা হয়ে থাকলে মেডিক্যাল বোর্ড বলবে। সরকার অবশ্যই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
এমইউএম/এইচএ/