বৃহস্পতিবার (১০ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গোলাম কিবরিয়া তার জামিন মঞ্জুর করেন।
টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশোক কুমার সিংহ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বেলা সাড়ে ১১টায় সংসদ সদ্য আমানুর রহমান খান রানাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে টাঙ্গাইল আদালতে আনা হয়। গত ৩ মে এ মামলায় এমপি রানাকে গ্রেফতারে জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামছুল ইসলাম। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার আদালত তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। পরে রানা আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন জানালে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।
২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর রাতে একদল সন্ত্রাসী আবু সাঈদকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ হামলায় আবু সাঈদ পঙ্গু হয়ে যান। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া আসামি আব্দুল জব্বার বাবু ঘটনার সঙ্গে রানার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর আদালতে জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে আব্দুল জব্বার জানান, এমপি রানা কারাগারে থেকে আবু সাঈদকে কিছু করার নির্দেশ দেন। তার নির্দেশ মতোই হত্যার উদ্দেশে সাঈদের ওপর হামলা করা হয়।
২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
ফারুক হত্যা মামলায় রানার অপর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছে।
এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে টাঙ্গাইল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে।
** রানার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮
জিপি