বৃহস্পতিবার (১৭ মে) সাইফুল ইসলাম হৃদয় বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
বুধবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনের সামনে হৃদয় তার বন্ধুসহ এক বান্ধবীর সঙ্গে গল্প করছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে পথরোধ করে হামজাসহ তিনজন। একপর্যায়ে হৃদয়কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে আশেপাশে থাকা শিক্ষার্থীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে হামজাকে ধরে ফেলে। অন্য দুই সহযোগি পালিয়ে যায়।
মতিহার থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলম বাংলানিউজকে জানান, মামলায় হামজার নাম উল্লেখ করে আরও দুইজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। হামজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। অন্য দুইজনকে গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
আহত হৃদয়কে বুধবার (১৬ মে) রাতে অস্ত্রোপচার শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। তিনি শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে, হৃদয়ের উপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কারের দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে দুপুর ১২টার দিকে অনশনে বসেন মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী প্রসেনজিৎ কুমার। ৩০ মিনিট পরই তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে প্রসেনজিৎ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করে ভিসিকে খোলা চিঠি দেয়। চিঠিটি ভিসির সচিব জাকির হোসেন গ্রহণ করেন।
রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া দাবি করেন, ‘হামজা ছাত্রলীগের কর্মী এটা সঠিক নয়। সে হয়তো আগ্রহী হয়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেয়। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, সহকারী প্রক্টর হাসানুর রহমানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দিলে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৬ ঘন্টা, ১৮ মে, ২০১৮
এসআই/