তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন হয়েছে আইনি প্রক্রিয়ায়। জামিন এবং মুক্তি দিতে পারেন আদালত।
শুক্রবার (১৮ মে) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন
ওবায়দুল কাদের।
খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে জামিনের পরও সরকার মুক্তি দিচ্ছে না বিএনপির এ অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, মামলা কয়টা, জামিন কয়টার হবে? এটা আমাদের বিষয় নয়। আওয়ামী লীগ তো মামলাও দেয়নি, জামিনও দেয়নি। এই মামলা করেছে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। দশ বছর এ মামলার কার্যক্রমকে বিঘ্নিত করে মামলার রায় হয়েছে মাত্র কিছু দিন আগে। আইনি লড়াই চালিয়ে যান, আদালতে আমাদের কোনো হাত নেই।
তিনি বলেন, মামলার দণ্ড দিয়েছেন আদালত, তাকে মুক্তিও দিতে পারেন আদালত, জামিনও দিতে পারেন আদালত। আওয়ামী লীগ সরকার জামিন দিতে পারে না। অনেক আগেই এ মামলার নিষ্পত্তি হতো। ১৫২ দিন তিনি হাজিরা দেননি। এক মামলার জামিন হয়েছে। তার মানে হচ্ছে এই সরকারের আমলে বিচার বিভাগ স্বাধীন। অপেক্ষা করুন। আন্দোলনে আপনারা পারবেন না, মরা গাঙ্গে জোয়ার আসে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই- নির্বাচনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তির কোনো সম্পর্ক নেই। আইনি লড়াইয়ে যান, আইনি লড়াইয়ে এক মামলায় জামিন হয়েছে, আরো মামলা আছে। আরও লড়াই করুন আদালতই জামিন দিতে পারেন।
খুলনা নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, পর্যবেক্ষকরাও বলছে খুলনায় দু-তিনটা অনিয়ম ছাড়া প্রত্যেকটাতেই নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হয়েছে। শুধু বিএনপি এই নির্বাচন মেনে নিতে পারেনি। এক লাখ দশ হাজার ভোট পেয়েছে। নির্বাচন ফেয়ার না হলে বিএনপি এতো ভোট পেত?
তিনি বলেন, আবার বার কাউন্সিলেও শুনি নতুন অভিযোগ, এখানেও কারচুপি হয়েছে। কোথায় হলো? বার কাউন্সিলের নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসাররা প্রত্যেকেই কিন্তু জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এখানেও কারচুপি? এরা আসলে আগামী নির্বাচনে জিতবে এ ধরনের আশা হারিয়ে ফেলেছে। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে নানান ছল-ছুতোয় নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পথ খুঁজছে।
দুর্বল ভাববেন না, মাথা উঁচু করে দাঁড়ান
বাংলাদেশ সসয়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮
এসকে/এসএইচ/এমজেএফ