এ সময় তিনি বিএনপি নেতাদের অশোভন বক্তব্য পরিহার ও রাজনৈতিক শালীনতা-ভব্যতা মেনে চলারও অনুরোধ জানান।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০২ সালে আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআই অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং সুধাসদনের অফিসটি তল্লাশির নামে তছনছ করে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল তৎকালীন বিএনপি সরকার। ২০০১ সালের ১৫ জুন নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ওই ঘটনার সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্তা প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে প্রকাশ্যে আমাদের নেত্রীকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছিলঅ। তৎকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও তারেক জিয়ার নির্দেশনায় যেভাবে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছিলো তা ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে। বিএনপির ক্ষেত্রে এমন কোনো হামলার ঘটনা ঘটে নাই। সুতরাং আজকে বিএনপির নেতারা যে সব বক্তব্য রাখেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিএনপি নেতাদের অনুরোধ জানাবো আয়নায় প্রথমে নিজেদের চেহারা দেখার জন্য।
তিনি বলেন, বিএনপি যতদিন ক্ষমতায় ছিলো আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সব সময় ব্যারিকেড থাকতো। এখন বিএনপি অফিসের সামনে সবসময় ব্যারিকেড থাকে না। বিএনপি নেতারা নয়াপল্টনের কার্যালয়ে বসে সকাল-বিকেল সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার করেন।
কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম আন্দোলনের সঙ্গে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। এতদিন বিএনপি পেছন থেকে সমর্থন দিলেও এবার বিএনপি প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে আমাদের বক্তব্য যে সঠিক ছিলো তা প্রমাণ করেছে। এটা কোটাবিরোধী আন্দোলন নয়। প্রকৃতপক্ষে সরকার বিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলন। তা প্রমাণ হয়েছে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এসএইচ