আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানান, বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করে লাভ কি। দলটির সঙ্গে সংলাপ করে কি সমাধান বেরিয়ে আসবে।
খালেদা জিয়ার সাজা, জেল খাটা এ সব কিছুই আইন-আদালতের বিষয়। যে মামলায় সাজা হয়ে খালেদা জিয়া জেলে আছেন সেটি দুর্নীতির মামলা। এ মামলায় আদালতের রায়ে খালেদা জিয়া ৫ বছরের জেল হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার বা আওয়ামী লীগের কিছু করার নেই।
বিএনপি দাবি করছে নির্দলীয় বা সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত নির্বাচনকালীন সরকার অর্থাৎ যে সরকার ক্ষমতায় আছে সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনের সময় সরকারের মন্ত্রিসভার আকার ছোট হবে এবং নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করে যাবে। সংবিধানের এ নির্দেশের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করবে না আওয়ামী লীগ। এ ব্যাপারে দলটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। আর নির্বাচনকালীন সরকারের বিএনপির প্রতিনিধি রাখারও সুযোগ নেই। কারণ সংসদে দলটির নির্বাচিত কোনো প্রতিনিধি নেই।
ওই নেতারা বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকারের বিএনপিকে প্রতিনিধি দিতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু বিএনপি কোনো প্রতিনিধিও দেয়নি, নির্বাচনও বর্জন করে। এবার বিএনপির সেই সুযোগ নেই।
এ পরিস্থিতিতে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা বা সংলাপ করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। দলটির সঙ্গে সংলাপ করে কোনো সমাধান বেরিয়ে আসবে না বলেও আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন।
বৃহস্পতিবার (০৯ আগস্ট) সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও সংলাপের প্রয়োজনীয়তা নাকচ করে দিয়ে বলেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করে কোনো ফলাফল আসবে না।
এদিকে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ওই নেতারা আরও বলেন, যে বিষয়গুলো মিমাংসিত সেই বিষয়গুলো নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে বিএনপি যদি সংলাপ করতে চায় তবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ করতে পারে।
নির্বাচন কেমন হবে, তারা কি ধরনের নির্বাচন চায় সেটা কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে বলতে পারে। এ বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বাংলানিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির কিসের সংলাপ। বিএনপির সংলাপ করতে হলে করবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। নির্বাচন কেমন হবে সেটার সিদ্ধান্ত তো আওয়ামী লীগ দেবে না। ফলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সংলাপ করে কোনো লাভ নেই। আমাদের কথা সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে, নির্বাচন হবে। এখানে সংলাপের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। আর খালেদা জিয়ার মামলা তো আইন-আদালতের বিষয়।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের কাছে সংলাপ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপির সঙ্গে কিসের সংলাপ। বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী এখানে আলোচনা করে তো কোনো লাভ নেই।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপির সঙ্গে কোন কথা বলা, আলোচনা করার সুযোগ নেই। কারণ তারা জঙ্গি, সন্ত্রাসী, দেশ বিরোধী চক্রের সঙ্গে যুক্ত। নির্বাচন কিভাবে হবে সেটা সংবিধানে বলা আছে। এখানে আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৮
এসকে/এসএইচ