মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাবি শাখা এ সভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্তির জন্য যিনি আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি বঙ্গবন্ধু। তাকে যারা হত্যা করেছে তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করতে চেয়েছিলো। দেশ থেকে আওয়ামী লীগকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করেছেন।
তিনি বলেন, যারা ৭৫’র হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছে, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বসিয়েছে, মন্ত্রী বানিয়েছে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হতে পারে না। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী সঠিক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। কে নির্বাচনে আসল আর কে আসল না তা আমাদের দেখার বিষয় নয়।
অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু সব সময় জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতেন। জাতির জনকের ত্যাগ আমাদের আলোচনার মধ্যে, জীবনের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাদের ধারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর মতো সেবা পরায়ণ ছাত্রনেতা ওই সময় কেউ ছিলো না।
এদিকে আলোচনা সভা শেষে প্রটোকল দেওয়া নিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন কেন্দ্রীয় সভাপতি শোভন ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি সনজিতের অনুসারীরা। এ সময় বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
এসকেবি/ওএইচ/