বুধবার (১৫ আগস্ট) দুপুরের দিকে দলটির দু’পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় উপজেলাজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) এসএম আশরাফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজে বলেন, প্রতিবছর পূর্বধলায় আওয়ামী লীগের দু’টি পক্ষ পৃথকভাবে জাতীয় শোকদিবসের কর্মসূচি পালন করে। এরমধ্যে দলীয় কার্যালয় তথা বাজার এলাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীরপ্রতীক) সমর্থিত নেতাকর্মীরা কর্মসূচি পালন করেন।
অপরদিকে আনুমানিক ১০০ গজ দূরে কর্মসূচি পালন করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন সমর্থক স্থানীয় আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন মালুর নেতাকর্মীরা।
ঘটনাস্থল থেকে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল বাংলানিউজে জানান, দুপুর দিকে শোক র্যালী নিয়ে একপক্ষের সামনে দিয়ে অপরপক্ষ বের হলে কর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে তা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রূপ নেয়।
এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আনতে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়লে উভয়পক্ষ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৮
জিপি