তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এখন বইতে (এস কে সিনহা) যা লিখেছেন, প্রধান বিচারপতি থাকাবস্থায় বলার সৎ সাহস একজন বিচারপতির কেন ছিলো না?’
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের এ কথা বলেন।
বিদেশে বসে ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ শিরোনামে আত্মজীবনীমূলক বই লিখেছেন এস কে সিনহা।
২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর দেশ ছেড়ে যাওয়া সাবেক এই প্রধান বিচারপতি তার বইটিতে দাবি করেন, তিনি ‘হুমকির মুখে’ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।
এস কে সিনহা তার বইয়ে আরও লেখেন, ‘২০১৭ সালে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে ঐতিহাসিক এক রায় দেওয়ার পর বর্তমান সরকার আমাকে পদত্যাগ করতে এবং নির্বাসনে যেতে বাধ্য করে। ’
প্রাক্তন এ প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন বইতে যা লিখেছেন, প্রধান বিচারপতি থাকাবস্থায় বলার সৎ সাহস একজন বিচারপতির কেন ছিলো না? এখন বিদায় নিয়ে কেন পুরনো কথা নতুন করে বলছেন, যা খুশি তা-ই বলছেন। এটা হয়, এটা হতেই পারে। এ নিয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না। ’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি (এস কে সিনহা) যদি সত্যিই বলতেন, তাহলে যখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন তখন বললেন না কেন? সত্য কথা দেশের জনগণের মাঝে এসে বললেন না কেন? এখন বিদেশে বসে আপন মনে ভুতুড়ে কথা চাপছেন। এটা আমাদের ও দেশের মানুষের বিশ্বাস করতে হবে? এর যৌক্তিকতা নেই। ’
কাদের আরও বলেন, ‘তিনি সাবেক হয়ে গেছেন। সাবেক হওয়ার অন্তর্জ্বালা আছে। কী পরিস্থিতিতে সাবেক হয়েছেন তা সবাই জানে। বই লিখে মনগড়া কথা বলবেন বিদেশে বসে, সেটা নিয়ে কথা বলার কোনো প্রয়োজন আছে? ক্ষমতা যখন থাকে না তখন অনেক অন্তর্জ্বালা গড়ে ওঠে। ’
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
এমইউএম/এইচএ