বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) সকালে করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নয় নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাচ্চু মিয়া এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল সরকারের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
নিহতরা হলেন-বগারগোত গ্রামের চান মিয়ার ছেলে আনোয়ার আলী (৪৫) ও একই গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে মোতালিব মিয়া (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বগারগোত গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বাচ্চু মিয়া ও কামাল সরকারের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে বেশ কয়েকবার টেঁটাযুদ্ধে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। সর্বশেষ ছয় মাস আগে টেঁটাযুদ্ধে বাচ্চুর সমর্থক মঙ্গল মিয়া নিহত হন। ওই ঘটনায় কামালসহ ৪৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। বুধবার ওই মামলায় আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে কামালসহ ১৩ জনের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। আর বাকি ৩০ জন জামিন পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাচ্চুর শতাধিক সমর্থক বৃহস্পতিবার কামালের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালান। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধ বেধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের ছোড়া টেঁটাবিদ্ধ হয়ে বাচ্চুর সমর্থক আনোয়ার আলী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় টেঁটাবিদ্ধ হন মোতালিব, কামাল (৪০), আক্কেল আলী (৬০), রহমত আলী (৬৫), শফিক (৪৫), ইমান আলীসহ (৪০) উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১১ জন।
আহতদের মধ্যে মোতালিবসহ চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মোতালিবের মৃত্যু হয়। বাকিরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৮
এসআই