তারা বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির জোট যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তা মোকাবিলা করতে হলে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য আগামী নির্বাচন পর্যন্ত তৃণমূল পর্যায়ে ১৪ দলের কার্যক্রম বৃদ্ধি করে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
শনিবার (০৬ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সভায় নেতারা এ পরামর্শ দেন। রাজধানীর ধানমন্ডির প্রিয়াংকা কমিউনিটি সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে, হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। তারা আবার দেশে হাওয়া ভবন তৈরি করতে চায়, সন্ত্রাসী, বোমাবাজি, জঙ্গিবাদের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। দেশকে তারা বার বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল, আবারও সেটা করতে চায়।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে নাসিম বলেন, হুমকি-ধামকি বাদ দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। আপনারা যে আন্দোলনের কথা বলছে সেটা আর হবে না। আন্দোলনে হুমকি বাদ দিয়ে নির্বাচনে আসেন, নির্বাচন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে নাসিম বলেন, বিএনপির নেতারা যা বলে সব হতাশা থেকে বলেন। হতাশা থেকেই তারা এ ধরনের হুমকি-ধামকি দেয়। তাদের বলবো হতাশ না হয়ে নির্বাচনে আসেন।
এ সময় নাসিম আরও বলেন, রাজশাহী, নাটোর এবং খুলনায় ১৪ দলের জনসভা হবে। এর পরে আমরা নতুন কর্মসূচি নেব।
সভায় বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, বিএনপির প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতি প্রতিহত করতে হলে আমাদের তৃণমূল পর্যায়ে যেতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে ১৪ দলের কার্যক্রম বাড়াতে হবে।
জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে গ্রাম, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পর্যায়ে ১৪ দলের কার্যক্রম নিয়ে যেতে হবে। সেখানে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরতে হবে এবং বিএনপি-জামায়াতের অপরাজনীতি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে সমাবেশ করে, প্রচারপত্র বিলি করে বিএনপির ষড়যন্ত্র তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের সামনে উন্মোচন করতে হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের মাঠে থাকাটা জরুরি। এ জন্য বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ১৪ দলের সমাবেশ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি এখন এতোই হতাশ যে তারা ড. কামাল হোসেনের নের্তৃত্ব মেনে নিয়েছে। এমন কথাও চালু আছে তারা ড. কামাল হোসেনকে প্রধানমন্ত্রী করতে চায়, বিএনপির কোনো প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নেই। বিএনপির এ দূর্বলতাকে আমাদের রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।
সাম্যবাদী দলের সভাপতি দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৮
এসকে/এসএইচ