রোববার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপ্রাপ্তদের চিঠি দেওয়া শুরু হয়।
বাদ পড়াদের তালিকায় সবার উপরে অাছেন সংসদ উপনেতা ও অাওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
তার সংসদীয় অাসন ফরিদপুর-২ এ এবার জোটের জন্য রাখা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। আসনটিতে নির্বাচন করতে পারেন জাকের পার্টির শীর্ষ নেতা মোস্তফা অামির ফয়সাল।
অারেক ভিঅাইপি সিলেট-১ অাসনের সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রী অাবুল মাল অাবদুল মুহিত নির্বাচন করবেন না বারবার ঘোষণা দিয়েছেন। তার বদলে আসনটিতে মনোনয়ন পেয়েছেন সহোদর ড. এ কে অাবদুল মোমেন।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ অাশরাফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। মনোনয়নের চিঠি পেলেও তার কিশোরগঞ্জ-১ অাসনে বিকল্প রাখা হয়েছে মো. মশিউর রহমান হুমায়ুনকে।
বাদের তালিকায় অাওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। তার ঢাকা-১৩ অাসেন এবার নৌকার প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তর অাওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।
ফরিদপুর-১ অাসনের বর্তমান এমপি ও অাওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অাব্দুর রহমানের অাসনে সাবেক সচিব এবং রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন বুলবুলকে নৌকার টিকিট দেওয়া হয়েছে।
এবার কপাল পুড়েছে অাওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অা ফ হ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের। তার আসন মাদারীপুর-৩ এ প্রার্থী করা হয়েছে দলের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলীর শরীয়তপুর-২ অাসনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম এনামুল হক শামীম।
শরীয়তপুর-১ অাসনের বর্তমান এমপি সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকের পরিবর্তে প্রার্থী করা হয়েছে অাওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপুকে।
ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন লক্ষীপুর-৩ অাসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল। তার অাসনে দ্বিতীয় প্রার্থী হিসেবে রাখা হয়েছে গোলাম ফারুখ পিংকুকে।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীমন্ত্রী চাঁদপুর-১ অাসনের বর্তমান এমপি ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীরের বিকল্প হিসেবে প্রার্থী রাখা হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন।
জামালপুর-৫ অাসনের এমপি সাবেক মন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা অাসনে বিকল্প রাখা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেনকে।
এদিকে নানা ঘটনা ঘটিয়ে সমালোচিত হয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী অারিফ খান জয়। নানা কারণে বিতর্কিত সাবেক ফুটবলারের নেত্রকোনা-২ অাসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অাশরাফ অালী খান খসরুকে। তিনি ওই আসনের সাবেক এমপি।
প্রবীণ অাওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রহমত আলীর ভাগ্যও সুপ্রসন্ন নয়। তার আসন গাজীপুর-৩ নতুন মুখ ইকবাল হোসেন সবুজ।
গাইবান্ধা-৩ অাসনের বর্তমান এমপিরও যাওয়া হচ্ছে না ভোটে। তার অাসনটি জোটের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গুঞ্জন অাছে এই আসনে প্রার্থী হতে পারেন টিআই ফজলে রাব্বী।
ঢাকা-৫ অাসনের বর্তমান এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার অাসনে নতুন মুখ কাজী মনোয়ার হোসেন মনু।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
এসকে/এসএম/এমএএম/এমএ