বিগত ১০ বছরে শেখ হাসিনার করা উন্নয়ন অগ্রযাত্রার পক্ষে রায় দিয়ে জনগণ আবারও তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়ে আসবে, যোগ করেন হানিফ।
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডে নিজের বাসায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দল থেকে মনোনয়নের ক্ষেত্রে যারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আছেন, বিশেষ করে জেলা, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা চেয়ারম্যানদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য অনেক যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন পাননি। দলের এ সিদ্ধান্তের বাইরে যদি কেউ স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থী হন তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মেহেদী হাসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি দলীয় নেতাকর্মীরা।
এদিকে, বুধবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ওই দিন কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
একই দিন একই আসনে নির্বাচন করার জন্য কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হানিফের আপন চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতাও মনোনয়নপত্র জমা দেন।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু আনছার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
একটি সূত্র বলছে, হানিফ ও তার ভাই আতা ছাড়া আওয়ামী লীগের আর কোনো নেতা এ আসনে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেননি। আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান কুষ্টিয়া সদরের বর্তমান মাহবুব-উল-আলম হানিফের আপন চাচাতো ভাই। তিনি কুষ্টিয়া শহরে হানিফের বাড়িতেই থাকেন। হানিফের পক্ষে ভোটের প্রচারণাও চালিয়ে আসছেন হানিফের আস্থাভাজন আতা। হঠাৎ করে আতার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় অনেকে বিষ্মিত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আতাউর রহমান আতা বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। এর বেশি কিছু জানি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৮
এসআই