তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট দুই শতাধিক আসনে বিজয়ী হবে।
শনিবার (১ ডিসেম্বর) বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সরকারের জাতীয় এইডস/এসডিটি কর্মসূচি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ৩০ আসন পাবে’- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমি যদি প্রশ্ন করি, এই ভবিষ্যদ্বাণী আপনি (মির্জা ফখরুল) করেন কীভাবে? জনগণের রায় আপনি কী করে দেন? আসলে এগুলো হুমকি-ধামকি। এসব কথা বলে জনগণের মন জয় করা যাবে না।
দেশ থেকে এইডস/এইচআইভি নির্মূলের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বর্তমান সরকারের বহুমুখী উদ্যোগ বাস্তবায়িত হওয়ায় দেশ ইতোমধ্যে ধনুষ্টংকার, পোলিওসহ বেশ কয়েকটি রোগমুক্ত হয়েছে। ২০৩০ সাল নাগাদ দেশ থেকে এইচআইভি/এইডস নির্মূলের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, বাংলাদেশ তা অবশ্যই অর্জন করতে পারবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্বস্বাস্থ্য) মো. হাবিবুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমবিডিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দেশের এইচআইভি/এইডসের সর্বশেষ পরিস্থিতি উপস্থাপন করেন জাতীয় এইডস/এসটিডি কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক মো. শামিউল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত দেশে ৮৬৯ জন নতুন এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে মারা গেছে ১৪৮ জন। দেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৪৫৫ জন এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। আর এ পর্যন্ত মারা গেছে ১ হাজার ২২ জন। দেশে এইচআইভি সংক্রমিত মানুষ আছে ১৩ হাজারের মতো।
বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের সামনে বটতলা থেকে ‘এইচআইভি পরীক্ষা করুন, নিজেকে জানুন’ প্রতিপাদ্যে একটি জনসচেতনতামূলক র্যালি বের হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে র্যালির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
এ সময় উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮
এমএএম/এমজেএফ