সোমবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটে গণসংযোগ ও নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবাদুল কাদের তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের উদ্দেশে বলেন, তিনি ২২ বছরে যে উন্নয়ন করেননি, আমি ১০ বছরে তার চেয়ে বেশি উন্নয়ন করেছি।
মওদুদ আহমদের পাঁচ বছরের ক্ষমতার সময় আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী মা-বাবার জানাজা পড়তে পারেনি, মামলা হামলাসহ নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কিন্তু গত ১০ বছরে প্রতিশোধ নিইনি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখেছি। মওদুদ আহমদ আমার মা ও স্ত্রীকে ভোট সেন্টার থেকে বের করে দিয়েছিলেন। আমার মা মারা গেছেন, যোগ করেন তিনি।
উন্নয়ন ও শান্তি রক্ষার্থে জনগণকে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জন্মনিবন্ধনে বাবার নামের পাশাপাশি মায়েদের নাম যুক্ত করে তাদের সম্মানের অধিকারি করেছেন। তরুণরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করছে। সারা বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার অবদানে ১৪ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার। সরকার পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল ও ফোরলেনের মতো মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে নৌকায় ভোট দিন।
এর আগে, বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মী বসুরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নির্বাচনী মিছিল সহকারে বসুরহাট বাজার প্রদক্ষিণ করে। এসময় নেতাকর্মীদের নৌকা প্রতীক ও রঙ-বেরঙের তোরণ নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
এসময় কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, পৌরসভার মেয়র মীজা কাদেরসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নোয়াখালী-৫ আসনের বিএনপি প্রার্থী মওদুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে মওদুদ সাহেবরা সকাল ১০টায় ভোটকেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করেছিলেন। আমাকে এলাকা ছাড়া করেছিলেন। আমার পুকুরের মাছ ধরে নিয়েছিলেন, গাছ কেটে শেষ করেছিলেন তারা। কিন্তু আমি বিজয়ী হয়ে প্রতিশোধ নিইনি। জয়ী হয়ে মওদুদ সাহেবের বাসায় গিয়েছিলাম। মওদুদ সাহেবরা মাস্তানি করেছেন, আমি কিন্তু প্রতিশোধ নিইনি।
বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষ আর বিএনপিকে ভোট দেবে না। মানুষ উন্নয়নের সঙ্গে রয়েছে। ধানের শীষ মানে পেটের বিষ। বিএনপি ভুয়া, মওদুদরা ভুয়া। তাদের দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না৷ মওদুদ ২২ বছরে নোয়াখালী জেলায় কিছুই করেননি। আমরা মাকড়সার জালের মতো সড়ক করেছি। ছয় মাসের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়িত হবে।
স্থানীয় ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি নির্বাচিত হলে কবিরহাট ও বসুরহাটে ছয় মাসের মধ্যে গ্যাস দেবো। এ এলাকায় আর কোনো বেকার থাকবে না।
সোমবার সকালে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার শুরু করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
এমআইএস/এসআই