মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্য্যলয়ে উপজেলা কৃষকলীগ আয়োজিত এক কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুর রহমান বলেন, ‘এদেশে একসময় ভাতের অভাব ছিলো।
তিনি বলেন, ‘আগে কৃষককে বলা হতো চাষাভুষা। কোনো কৃষকের সন্তান স্কুলে পড়লে শুনতে হতো চাষার ছেলে। আজ কৃষকের সন্তানেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ডাক্তার, প্রকৌশলী, সংসদ সদস্য, সচিব, মন্ত্রী হচ্ছে। সচিব থেকে শুরু করে মন্ত্রী, এমপি, ডাক্তার, শিক্ষক, প্রকৌশলী আজ গর্ব করে বলেন আমি কৃষকের সন্তান। বাবার পেশার পাশে গর্ব করে লিখেন আমার বাবা কৃষক। আজ শেখ হাসিনার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। ’
কৃষকলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জেলা সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতে আমলে সারের জন্য কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছে। এখন কৃষক শ্রেষ্ঠ কৃষক পুরস্কারে ভূষিত হয়। তাই আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার চ্যালেঞ্জ। এ নির্বাচনে জয়ী হতে হবে। আমাদের বড় শক্তি দেশের জনগণ। আওয়ামী লীগ কৃষক, শ্রমিক, মেহনতী মানুষের দল। আওয়ামী লীগ কখনো বিএনপি-জামায়াতের মতো পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। এবার ভোটের রাজনীতি হবে। ’
উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ মালিথার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক মালিথার পরিচালনায় কর্মী সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নায়েব আলী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মকলেছুর রহমান মিন্টু, কৃষকলীগ নেতা আরিফ মহলদার, মুরাদ আলী মালিথা, আব্দুল বারী, ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
জিপি