নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এমন কথা বলেন তিনি।
মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) ঠাকুগাঁওয়ে মির্জা ফখরুলের গাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা করে।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতার যে খবর পাচ্ছি, যে হামলাগুলো হচ্ছে সেগুলো আওয়ামী লীগের উপরই বেশি। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, এরইমধ্যে আমাদের দু’জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে তৃণমূলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কাজেই বেছে বেছে তাদের উপরই এই আক্রমণ। এই জিনিসটা আমরা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেছি।
তিনি বলেন, কমিশনের কাছে তো অন্যরা অন্যভাবে বিষয়গুলো বলেছে। যেমন ধরেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের গাড়ি বহরে হামলা। আমরা যে তথ্য পেয়েছি তারা তো পুলিশকে খবর দিয়ে যায়নি। পুলিশেরও জানা ছিল না। স্থানীয়ভাবে ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, গুলশান অফিসে মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে মির্জা ফখরুল ইসলামের ওখানেও।
এইচটি ইমাম বলন, তাদের দলের লোকেরাই নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে। আওয়ামী লীগের কেউ ছিল না। অথচ বিশেষ একটি পত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে ওই পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। ভুল স্বীকার করেছেন। এরকম ভুল হওয়া উচিত না। এরকম খবর যাচাই বাছাই করে নিলেই হয়। এখন তো খোঁজ খবর নেওয়া সহজ। কোনো একটিতে এরকম ঘটলে অন্যরা প্ররোচিত হন। উৎসাহী হন। কিন্তু নির্বাচনের আগে এই সময়ে নানা রকম সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য মিডিয়ার কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে, এধরনের বিষয় যাতে যাচাই-বাছাই করে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়। এমনভাবে পরিবেশন করে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে যত সহিংসতা হচ্ছে, সেগুলো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর বেশি হচ্ছে। আমাদের দুইজন কর্মী নিহত হয়েছে। মাহী বি. চৌধুরীর গাড়ির বহরের উপর হামলা-এটিই তার প্রমাণ। মহাজোটের অন্যান্য সহযোগীদেরও উপরও হামলা চালানো হচ্ছে।
এছাড়া পটুয়াখালী, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর, বগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, মানিকগঞ্জের সিংড়া, গাংগী, মেহেরপুরের শাহাজাদপুর ও নরসিংদী জেলায় আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা হয়েছে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমাদের মূল বক্তব্য হচ্ছে মিথ্যা ও গুজব তথ্য প্রচার করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন কেউ নষ্ট না করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস