মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সি.আর আমলী কোর্টের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. দেলোয়ার হোসেনের আদালতে খুনিয়াপালং ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি এসএম. ফরিদুল আলম ও রামু উপজেলা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক বাদী হয়ে মামলা দু’টি দায়ের করেন।
আদালত মামলা দু’টি আমলে নিয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১২ ডিসেম্বর (বুধবার) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধেচুয়াপালংয়ের রাবেতা হাসপাতালের সামনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর রহমান কাজলের নির্বাচনী প্রচারণায় খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মাবুদের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যববহৃত যানবাহন ও মাইক ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় খুনিয়াপালং ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি এস এম ফরিদুল আলম বাদি হয়ে খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল গনি সওদাগরসহ ৪৩ জনকে এজাহারভূক্ত ও ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে, এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর (সোমবার) দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পানেরছড়া নুরুল আলম সওদাগরের মুদির দোকানের সামনে ধানের শীষের প্রচারণা চালানোয় রামু উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হকের ওপর হামলা করে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস ভূট্টো ও তার সহযোগিরা। এ ঘটনায় আনছারুল হক বাদি হয়ে ইউনুচ ভুট্টোসহ মোট সাতজনের নামোল্লেখ করে দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ জনকে আসামি দেখানো হয়েছে।
তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মামলায় অভিযুক্ত খুনিয়াপালং ও দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মাবুদ ও ইউনুচ ভুট্টো। তারা বলেছেন, বাস্তবে এলাকায় এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এটি তাদের সাজানো নাটক। নৌকার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি এসব করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
এসবি/ওএইচ/