তিনি বলেছেন, অত্যন্ত কার্যকর এই ইশতেহার বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের উন্নত দেশে পরিণত হবে।
বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মহানগরীর ভাটাপাড়া এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রজাশাহী-২ (সদর) আসনের মহাজোটের প্রার্থী এ কথা বলেন।
এসময় বাদশা বলেন, সরকার যখন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কিংবা ‘বাংলাদেশ বদলে দিন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল, তখন অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিল। কিন্তু বিশ্ব আজ স্বীকার করেছে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। বর্তমান সরকার আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে এই ইশতেহারও বাস্তবায়ন করে দেখানো হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। বিএনপি বলছে, তাহলে কী আমরা দুর্নীতিবাজদের মেরে ফেলবো? আমরা বলছি, কঠোর আইন প্রয়োগ হবে। দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না। দেশের টাকা পাচার পুরোপুরি বন্ধ হবে। দুর্নীতি বন্ধ হবে। তখন দেশে আরও বেশি উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দেওয়া ইশতেহারের সমালোচনা করে বাদশা বলেন, তাদের ইশতেহার হাস্যকর। তারা বলেছে, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোনো বয়সসীমা থাকবে না। আমরা বলছি, তরুণরা জাতির ভবিষ্যৎ। আগামীতে তাদের হাতেই দেশকে তুলে দিতে হবে। তাদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। তাই অগ্রাধিকার তাদেরই বেশি থাকা উচিত।
এদিন, সকালে ফজলে হোসেন বাদশা মহানগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটাপাড়া মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। এরপর বিকেল পর্যন্ত তিনি ডিঙ্গাডোবা ও লক্ষ্মীপুরসহ আশপাশের এলাকায় নৌকার পক্ষে প্রচার চালান। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি ভোটারদের হাতে নৌকা প্রতীকের লিফলেট তুলে দিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন। কুশল বিনিময় করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও।
এ সময় তার সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকু, ৭ নম্বরের কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, বাংলাদেশ জাসদের নগর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফিরোজ রহিম ও যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮
এসএস/টিএ