রোববার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বসির আহম্মেদ বাদী হয়ে ৩২ জনের নামে ভাঙ্গুড়া থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পৌর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক কমিশনার শহিদুল ইসলাম (৪০), উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ওরফে খোকন (২৮)।
>>>আরো পড়ুন...ভাঙ্গুড়ায় আ’লীগের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর-বিস্ফোরণ, আহত ৩
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শনিবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে পৌর সদরের হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের পূর্বপাশে পৌর আওয়ামী লীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী অফিসে আলোচনা সভা চলছিল। এ সময় শরৎনগর বাজারের ভেতর থেকে দ্রুতবেগে মোটরসাইকেলে কয়েকজন এসে আমাদের অফিস লক্ষ্য করে ২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে অফিস ভাঙচুর শুরু করে। হামলার সময় পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওমর ফারুক রানা (৫০), পৌর যুবলীগ নেতা সোহেল রানা (২৮) ও ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হোসেন (১৮) আহত হন। তাদের ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ হামলার পেছনে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর ইকবাল হিরোক বাংলানিউজকে বলেন, এসব আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক। নিজেরাই ঘটনা ঘটিয়ে দোষ দিচ্ছেন বিএনপির উপর। নির্বাচন থেকে বিএনপির নেতা কর্মীদেরকে দূরে রাখতে প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজশে তারা এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ রানা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮
এনটি