শনিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় মহাসমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উৎসবমুখর এ আয়োজনকে নির্বিঘ্ন করতে ভোর থেকেই এলাকাজুড়ে পুলিশ, র্যাব, ডিবি পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্ব পালনে দেখা যায় সাদা পোশাকধারী বিপুলসংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশপথে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে, এর মধ্য দিয়ে সবাইকে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে হচ্ছে। এছাড়া প্রবেশপথে পুলিশ সদস্যরা হাতেও তল্লাশি করছেন সবাইকে।
অনুষ্ঠানস্থলে কোনো ধরনের হ্যান্ডব্যাগ, ট্রলি ব্যাগ, দাহ্য পদার্থ বা ধারালো কোনো বস্তু বহন না করার জন্য আগেই অনুরোধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পাশাপাশি নিরাপত্তার স্বার্থে কর্তব্যরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করার অনুরোধও জানিয়েছে তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা, শাহবাগ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাড়তি উপস্থিতির পাশাপাশি মোতায়েন রয়েছে এপিসি, জলকামান ও রায়ট কার। এছাড়া যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটও।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বাংলানিউজকে বলেন, বিজয় উৎসবকে ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিশেষ পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া পুরো সমাবেশ এলাকা সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় আছে, কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ডিএমপির পক্ষ থেকে ডগ স্কোয়াড ও মেটাল ডিটেকটর দিয়ে উৎসবস্থল স্যুইপিং করা হয়েছে।
এলিট ফোর্স র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিজয় উৎসবে যেন কেউ কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করতে না পারে, সেজন্য রাজধানীতে বিপুল সংখ্যক র্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
র্যাব-৩ এর অপারেশন অফিসার এএসপি বীনা রানী দাস বাংলানিউজকে বলেন, বিজয় উৎসবস্থলে আমাদের ওয়াচ টাওয়ার আছে, সেখান থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় ছয়টি পেট্রোল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করছে।
নিরাপত্তাজনিত কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশের এলাকাগুলোর সড়ক দিয়ে যান চলাচলেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিজয় উৎসবের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির যাতায়াত উপলক্ষে শনিবার ভোর থেকে অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত চারপাশের ইন্টারসেকশন যেমন-বাংলামোটর, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, শাহবাগ, কাটাবন, নীলক্ষেত, পলাশী, বকশীবাজার, চাঁনখারপুল, গোলাপশাহ মাজার, জিরো পয়েন্ট, পল্টন, কাকরাইল চার্চ, অফিসার্স ক্লাব, মিন্টু রোড ক্রসিংগুলোতে ডাইভারশন দেওয়ার প্রয়োজন হয়েছে। শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত সড়ক সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য বন্ধ থাকবে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারদিকের রাস্তায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
জানা গেছে, সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী দিনে তার দল আওয়ামী লীগ ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরবেন সমাবেশে। দেবেন প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনাও।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৯
পিএম/এএটি/এইচএ/