রোববার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে বলেই মানুষ ব্যাপকহারে নৌকায় ভোট দিয়েছে।
জনগণের দেওয়া ভোটের মর্যাদা রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, দেশে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে। এগুলো শেষ করতে হবে । পাশাপাশি নতুন নতুন উন্নয়ন কাজ শুরু করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে এবং তার আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। কারণ তার কাজের প্রেরণাযই হচ্ছেন তার বাবা বঙ্গবন্ধু এবং মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
এ সময় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতাদের নেতিবাচক মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পচাত্তরের পর জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলকে উচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করে। আর তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি সে কারণেই অবৈধ হয়ে যায়। আর সে কারণে জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা তাকে স্বীকৃতি দেয়নি।
শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন, জিয়াউর রহমানই ভোট কারচুপির রাজনীতি শুরু করে এবং মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়।
আদালতের দেওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজা উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, একজন দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে, আরেকজন ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, মানি লন্ডারিং মামলা, হত্যা খুন ও দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।
নির্বাচনে বিএনপির পরাজয় প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মনোনয়ন নিলামে দেয়। তারা আবার জয়ের আশা করে কী করে?
তিনি বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে জরিপ করে বিএনপি নেতারা বুঝতে পারেন যে নির্বাচনে তারা জিতবেন না। আর সেজন্যই তারা নির্বাচনের নামে নাটক করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী, পচাত্তরের খুনি এবং জেল হত্যাকারীদের বিচার করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্নীতিবাজদেরও সাজা দেওয়া হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ কলুষমুক্ত হয়েছে।
‘বাংলাদেশের উন্নতি ও এগিয়ে যাওয়া বিএনপি-জামায়াত জোটের ভালো লাগে না, বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকলে তারা সহ্য করতে পারে না,’ যোগ করেন তিনি।
দৃঢ়তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বাংলাদেশকে আরও উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবে। যাতে দেশের একজন লোকও কোনো রকমের দুঃখ কষ্টে না থাকে। কারণ দেশের সাধারণ মানুষের জীবনকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি।
টুঙ্গীপাড়া ও কোটালীপাড়া আসন থেকে পুনরায় নির্বাচিত করায় সেখানকার জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ পৌঁছে দিতে উপস্থিত নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানান শেখ হাসিনা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
এমইউএম/এমএ