সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী মার্চে অনুষ্ঠেয় উপজেলা নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশ নিচ্ছে না দলটি। এককভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যেই দলীয় প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে।
এ জোটের কোনো কোনো দলের মধ্যে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তেমন একটা আগ্রহও নেই। এমনকি দলীয়ভাবে আলাপ-আলোচনাও শুরু হয়নি।
এই জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদ-ইনুর নেতারা জানান, তারা দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নেবেন। প্রার্থীদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। দলীয়ভাবেও প্রস্তুতি শুরু করা হবে।
এ বিষয়ে ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলা নির্বাচন জোটগতভাবে অংশ নেওয়া হবে না। দলগতভাবেই অংশগ্রহণ করা হবে। আমরা দলীয়ভাবেই প্রার্থী দেবো। সেভাবে আমরা প্রস্তুতিও শুরু করবো।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের উপ-নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টির কোনো প্রার্থী নেই। এই উপনির্বাচনে দলটির অবস্থান কী হবে সে ব্যাপারে চলতি সপ্তাহেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’
বামপন্থি দলগুলোর রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম বাম গণতান্ত্রিক জোটও নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেনি। এই জোট উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
জোটের একাধিক সূত্র জানায়, রোববার (২৭ জানুয়ারি) বাম গণতান্ত্রিক জোটের সভা আছে। এই সভায় নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলে শরিক দলগুলো প্রস্তুতি শুরু করবে।
এই জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা জানান, এ নির্বাচনে যারা প্রার্থী হতে চায় তাদের প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও সিপিপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলা নির্বাচন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে আমরা অংশ নেবো কি, নেবো না- সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। রোববার জোটের সভা আছে। ওই সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নেবো জোটের অবস্থান কী হবে!
আগামী মার্চ থেকে কয়েক ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। এর আগে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের উপ-নির্বাচন।
এই নির্বাচনগুলোতে অংশ নেবে না বলে এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে বিএনপি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাচনে অংশ দেয় দলটি। প্রার্থী দেয় বামগুলোও।
এর আগে ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি কপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি ছাড়াও সিপিবি, গণসংহতি আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী ছিলো। বর্তমানে এই দুইটি দল বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্তর্ভুক্ত। প্রার্থী ছিলো ১৪ দলের শরিক জাসদও।
যোগাযোগ করা হলে ১৪ দলের শরিক বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলা নির্বাচন দলগতভাবেই হবে। তবে আমরা এখনও প্রস্তুতি শুরু করিনি। এ ব্যাপারে দলীয়ভাবে আলোচনা করে প্রস্তুতি শুরু করবো।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটিতে কাউকে সমর্থন দেওয়া হবে কি-না সে ব্যাপারে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।
তবে নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৪ দলের আরেক শরিক ন্যাপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন।
বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি আছে কিন্তু পরিবেশ যদি না থাকে যাবো কিভাবে? গত নির্বাচনের আগে আমরা নির্বাচন কমিশনকে টাকার খেলা বন্ধ করতে বলেছিলাম কিন্তু সেটা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯
এসকে/এমএ