শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংসাদ সম্মেলনে কাদের এ মন্তব্য করেন। এতে দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচন দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। রাজনীতিতে জয়-পরাজয় আছে। নির্বাচনে বিএনপি যতটুকু বিজয়ের অংশীদার হয়েছে, এটা নিয়েই তাদের সংসদে যাওয়া উচিত। সংসদের ভেতরে-বাইরে দুই ক্ষেত্রেই আন্দোলন করা যায়। নেতিবাচক রাজনীতির ধারা অব্যাহত রাখলে বিএনপি বিদেশি বন্ধুও হারাবে।
নির্বাচনে জালিয়াতি-কারচুপির অভিযোগ তুলে তা প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি। এমনকি দলটি থেকে নির্বাচিত ৬ সংসদ সদস্য শপথই নেবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যদি সংসদ বর্জনের মানসিকতা অনুসরণ করে, তাহলে সেটা তাদের অস্তিত্বের জন্যই ক্ষতিকর হবে। তারা সংসদে গেলে বিরোধীদের কণ্ঠ ভারী হবে। সংসদে বিএনপির সদস্য সংখ্যায় কম হলেও তারা জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে।
‘প্রধানমন্ত্রী যে চা-চক্রের আয়োজন করেছেন, বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট সেখানে খোলামেলা আলাপ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রের আহ্বান বর্জন বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির ধারা। বিএনপি নেতিবাচক ধারা আঁকড়ে ধরায় তারা রাজনীতিতে খাদের কিনারায় পড়েছে। ’
ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অতীতে ডাকসু নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র ছিল হলগুলোতে। এবারও ডাকসু নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র হলেই হবে। এ নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। ডাকসু নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। শিক্ষার্থীরা অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। ডাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় রাজনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আন্দোলনে দেশের জনগণ আগ্রহী নয়। গত ১০ বছরে বারবার চেষ্টা করেও বিএনপি সাড়া জাগানোর মতো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। নির্বাচনের পর আন্দোলনের কোনো বস্তুগত পরিস্থিতি বিরাজ করছে না, যার মাধ্যমে তাদের সাফল্য আসে। তারা আন্দোলনের ডাক দিতে পারে, জনগণ যদি সাড়া না দেয়, সাফল্য আসবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৯
এসকে/এইচএ/