বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর শিবরামপুর এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত খাইরুল চর শিবরামপুর গ্রামের মৃত ছাবের আলীর ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, খাইরুল ভবন নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহের কাজ করতো। এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তিনি। ওয়ার্ড কৃষকলীগের সদস্য ছিলেন তিনি।
নিহত খাইরুলের ছোট ভাই হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা দীর্ঘদিন ধরে আমার ভাইকে হত্যার চেষ্টা করছিল। আমরা সবসময় দলবদ্ধ থাকতাম। বিকেলের দিকে এলাকার একটি জলাশয়ে মাছ ধরতে গেলে তাকে একা পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাইকে যারা হত্যার করেছে তাদের নামে পুলিশকে আগেই লিখিতভাবে অভিযোগ করেছিলাম। প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আজ আমার ভাইকে জীবন দিতে হতো না। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। ’
পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বাংলানিউজকে বলেন, একটি উন্মুক্ত জলাশয়ের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে চর শিবরামপুর গ্রামের দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে খাইরুলকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা খাইরুল মারা যান।
এ ঘটনায় পাবনা সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে বলেও জানান পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
জিপি