বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ আয়োজিত জাতির পিতার ৯৯তম জন্মদিন ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী জাতির পিতাকে শ্রদ্ধায় সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালিকে উজ্জীবিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়েছেন। বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে সুসংহত করে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে চলছিলেন, তখনই যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা তাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। আর এখনও তারাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবাক করা উন্নয়ন সহ্য করতে পারছে না। নির্বাচনে ভরাডুবির পর তারা এখন সংবাদ সম্মেলনের রাজনীতি করছে।
‘কিন্তু এতে তাদের কোনো লাভ হয়নি। বরং ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল হারিয়ে গেছে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডান-বাম এমনকি অতি ডান-অতি বাম মিলেও ছাত্রলীগকে হারাতে পারেনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, এতো বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানই সবচেয়ে ইতিবাচক দিক। ছাত্রদের আবার সুস্থ রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার বাস্তব পদক্ষেপ।
এসময় ‘বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন, বাংলাদেশ আজ মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়েও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতো’ উল্লেখ করে মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ আজ জিডিপি-তে বিশ্বের ৪৩তম দেশ, ক্রয়ক্ষমতা সূচক বা পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটিতে বিশ্বের ৩১তম দেশ এবং আমাদের মাথাপিছু আয় ১৭৫২ ডলার।
আয়োজক সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ এর সভাপতি এ কে এম এ হামিদ বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ সভাপতি মো. খবির হোসেন বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
জেডএস/জেডএস