ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

‘বিএনপি রাজনীতিতে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৯
‘বিএনপি রাজনীতিতে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে’ ড. হাছান মাহমুদ

ঢাকা: বিএনপি দেশের রাজনীতিতে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, বিএনপি বলে দেশে গণতন্ত্র নেই। দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই তারা সকাল-বিকাল সংবাদ সম্মেলন করে সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে কথা বলছে, অপপ্রচার চালাচ্ছে।

কিন্তু তারা দেশের রাজনীতিতে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে, এটা এ দেশের মানুষ ভালো করে জানে।

মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) বিকেলে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ কমিটির সভার আগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি আন্দোলনের নামে মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা মেরেছে। তারা মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালিয়ে হাজার হাজার মানুষকে আগুনে পুড়িয়েছে। ৫শোর বেশি মানুষকে তারা আগুনে পুরিয়ে হত্যা করেছে। দেশের রাজনীতিতে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে, বিএনপির ক্ষেত্রে এ কথাটি প্রযোজ্য। রাজনীতিতে ভীতি ও অগ্নিসন্ত্রাস সংযোজন করেছে এই বিএনপি। এটা আমাদের রাজনীতিতে ছিলো না। এমনকি উপমহাদেশের রাজনীতিতে ছিলো না।

তিনি বলেন, যে দেশের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে সেসব দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফিরিয়ে দিতে কোনো অনাগ্রহ নেই। তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যের সাথে আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি না থাকায় তারেক রহমানকে ফেতর পাঠাতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখানে প্রতিহিংসার কোনো বিষয় নেই। আইন আদালতের সম্মান রক্ষার্থেই তাকে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। তিনি (তারেক) যদি মনে করেন তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার সম্মুখীন হচ্ছেন তাহলে তো তার নিজে থেকে চলে আসা উচিত। তার সৎ সাহস থাকলে আদাতলে এসে আত্মসমর্পণ করা উচিত। কিন্তু তার সেই সাহস নেই। বিএনপির উচিত ছিল তারেককে নেতৃত্ব থেকে বাদ দেওয়া। তারা সেটি করেনি। বরং একজন দুর্নীতিবাজ ও হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে সব ধরনের রাজনৈতিক সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এটা বিএনপির রাজনৈতিক দৈন্যতারই বহিঃপ্রকাশ।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, কাগজে দেখেছি বিএনপির সিদ্ধান্ত  নেওয়ার ক্ষেত্রে ৫ জন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাতে অনেক সিনিয়র নেতার নাম নেই। এর মধ্য দিয়ে এটাই প্রমাণ হয় বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে অনেক সন্দেহ, অবিশ্বাস বিরাজ করছে। সেটারই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে মহাসচিবের কর্তৃত্ব খর্ব করা। মহাসচিবের সাথে আরও কয়েকজনকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আরও দেখলাম ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে মহাসচিব একা যেতে পারবেন না। একে অপরের প্রতি প্রচণ্ড অবিশ্বাস থেকেই এ সিদ্ধান্ত।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ড. মাহমুদ বলেন, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের যারা কাজ করেছেন তাদের কারণ দর্শানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ সভায় আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ কমিটির সদস্য আশরাফ সিদ্দিক বিটু, শাহ মোস্তফা আলমগীরসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯ 
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।