তবে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের এই নেতাকে দল থেকে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু সহযোগিতা দিলেও তা চিকিৎসার অনুপাতে অপ্রতুল। এসএম শফির চিকিৎসার প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করছেন পরিবারের সদস্যরা।
এসএম শফির দুটো কিডনি অকেজো হয়ে গেছে, আছে ডায়াবেটিক। এর আগে কয়েকবার ভারতের চিকিৎসার জন্য গেলেও অর্থের অভাবে এখন আর যেতে পারছেন না। হাসপাতালের ব্যয় ভার বহন করতে না পারায় বর্তমানে তিনি বাসা থেকে চিকিৎসা চালাচ্ছেন।
চিকিৎসকদের পরামর্শ, অন্তত একটি কিডনি যেন প্রতিস্থাপন করা হয়। না হয় জীবন সংকটে পরবে। আর এজন্য প্রয়োজন প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা।
এসএম শফির ছোট ছেলে প্রকৌশলী নাজিম উদ্দিন বলেন, এখন দেশের বাইরে নিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন জরুরি। দীর্ঘদিন ধরে বাবার চিকিৎসা চালাতে গিয়ে আমরা আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছি। এখন আমরা প্রধানমন্ত্রীসহ বিত্তবান লোকের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
এসএম শফি রাজনীতির শুরুতে চট্টগ্রাম ফাতেহপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল হয়। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে ১৬ আগস্ট বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়। তারমধ্যে এসএম শফিও ছিলেন। পরে ২৫ আগস্ট আরো কয়েকজনের সঙ্গে তিনি খাগড়াছড়ি চলে আসেন।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বর্তমানে তিনি শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য। এছাড়া খাগড়াছড়ি পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন। খাগড়াছড়ি পৌর সভার টানা তিনবার কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
এডি/এএটি