বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার গোপালদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বুধবার বেলা ১১টায় মাদক সেবন ও ইভটিজিংয়ের অপরাধে উপজেলার রামচন্দ্রদী গ্রামের জামালউদ্দিনের ছেলে দিদার ইসলামকে গোপালদী বাজার থেকে আটক করে পুলিশ। তাকে আটক করার খবর জানতে পেরে গোপালদী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজয় সাহা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে যান এবং দিদারকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপাচাপি করেন।
পুলিশ দিদারকে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে সুজয় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে অ্যাসিস্ট্যান্ট টাউন সাব ইন্সপেক্টর (এটিএসআই) মামুন প্রতিবাদ করলে সুজয় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর শুরু করেন। সুজয় মোবাইলে তার সহযোগীদের তদন্ত কেন্দ্রে এনে পুলিশের ওপর হমলাও চালাতে থাকেন।
খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন নিজেই অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আটকে রাখেন দিদারকে, আটক করেন সুজয়কেও।
আহত এটিএসআই মামুন, কনস্টেবল আবুল বাশার ও ইমরানকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, পুলিশকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
গোপালদী পৌরসভা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল আহমেদ আপন এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, দিদার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। কোনো কারণ ছাড়াই তাকে আটক করা হয়। সে মাদক ও ইভটিজিংয়ে জড়িত নয়। তাকে ছাড়িয়ে আনতে তদন্ত কেন্দ্রে গেলে পুলিশ সুজয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
এইচএ/