বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন টিংকু। গত ১৫ জুলাই একই স্থানে টিংকুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা হাফিজুল ইসলাম।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে কয়রা ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, ‘হতবাক ও বিস্মিত হয়েছি, যখন জানতে পেরেছি যুবলীগ নেতা হাফিজুল ইসলাম খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এবং আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চক্রান্ত হিসেবে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অসত্য, বানোয়াট, কল্প-কাহিনী উপস্থাপন করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ’
‘প্রকৃত ঘটনা হলো গত ১৪ জুলাই (রোববার) সন্ধ্যায় উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা হাফিজুল ইসলামের নিজস্ব একটি অফিসে তার সঙ্গে এনামুলের পূর্বশত্রুতার জের ও পারিবারিক কোন্দলের কারণে মারামারির সূত্রপাত হয়। এতে দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি। পরে হাফিজুলের চাচাতো ভাই কাজল এসে মারামারি ঠেকানোর চেষ্টা করে। ঘটনার সময় আমি আমার নেতা-কর্মীদের নিয়ে কয়রা সদরে থাকায় উক্ত মারামারির বিষয়ে কিছুই জানি না এবং উপজেলা ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মী ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না। সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ নেতা হাফিজুল ইসলাম আমার সম্পর্কে বিভিন্ন কল্প-কাহিনী সাজিয়ে আপনাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। ’
টিংকু বলেন, ‘আমি কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আজ অবধি কোনো বিতর্কিত কাজের সঙ্গে লিপ্ত হইনি। এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে খুলনা জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আমি উপ-অর্থ সম্পাদক মনোনীত হই। আমার পিতা এস এম হযরত আলী বর্তমানে কয়রা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। আমার মা ছালমা আক্তার দীর্ঘদিন কয়রা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকার দায়িত্ব পালন করছেন। এ বিষয়ে কয়রা উপজেলা ও ৭টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা অবগত আছেন এবং তারা আমাকে চেনেন এবং জানেন। আমি বর্তমানে খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ব্যাচেলর অব ল’ (অনার্স) শাখার শিক্ষার্থী। এসবের প্রত্যয়নপত্র ও কলেজ আইডি কার্ডের কপি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। ’
‘যুবলীগ নেতা হাফিজুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে আমার সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন যে বিভিন্ন মানুষ আমার কাছে ৮৬ লাখ টাকা পাবে। অভিযোগটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। এছাড়া অভিযোগ করেছেন যে আমার নামে কয়রা থানায় ৮টি জিডি রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমার বিরুদ্ধে থানায় কোনো ডিজি বা মামলা নেই, এটা ষড়য়ন্ত্রের একটি অংশ। ছাত্রলীগ নিয়ে ষড়যন্ত্র নতুন কিছু নয়। এটা চলমান বিষয়। একটি বিশেষ মহল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এ ধরনের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে আমি মনে করি। ’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম (বাগালী),সাধারণ সম্পাদক মো. হাদিউজ্জামান রাসেল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা শেফারসহ কয়রা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এমআরএম/এইচএ/